মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) দিতে ডাক বিভাগের চালু করা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যে নগদকে আগামী ছয় মাস কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নগদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমএফএস সংক্রান্ত নীতিমালা ও বেঁধে দেওয়া লেনদেন সীমা যথাযথভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নগদও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা ও লেনদেন সীমা মেনে চলতে শুরু করেছে। ‘নগদ’ ডাক বিভাগের সেবা হলেও এটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড। নগদের মালিকানার ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ডাক বিভাগের হাতে, আর বাকি ৪৯ ভাগ থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির হাতে।
এদিকে, চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে নগদকে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে, ডাক বিভাগের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা। দিনশেষে শেষে ই-মানি ও ব্যাংক হিসাবে সমান টাকা থাকা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন জমা দেওয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা ও শর্ত মেনে চললে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ‘নগদ’ আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পেয়ে যাবে।
জানা গেছে, নগদকে এমএমএস হিসেবে অনুমোদন দিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ সংক্রান্ত নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে অথবা বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। কারণ, বর্তমান নীতিমানা অনুযায়ী এমএফএস প্রতিষ্ঠানের ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকতে হবে ব্যাংকের হাতে। নগদ এমএফএস প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন পেলে বিকাশ ও রকেটের মত বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এতে করে ব্যাংক হিসাব থেকে নগদে টাকা স্থানান্তর করতে পারবে গ্রাহকেরা। এতে গ্রাহকের ভোগান্তি কমবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, অনুমোদন দেওয়ার আগে নগদকে ছয় মাস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম নীতি মেনে চলতে বলা হয়েছে। এরপরই অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গত ফেব্রুয়ারিতে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছে, কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা সেই নির্দেশনা মেনে চলছি। এরপর অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।