গ্রেপ্তার হবেন জেনেই ব্যাগে জামাকাপড় আর ওয়াটারবটল নিয়ে এসেছিলেন রিয়া

গ্রেপ্তার হবেন জেনেই মঙ্গলবার জেরার শেষদিনে বাড়ি থেকে কয়েক সেট জামাকাপড় আর ওয়াটারবটলে পর্যাপ্ত পানীয় জল নিয়ে এসেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। মঙ্গলবার টানা তিনদিনের জেরার শেষে নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়মিত ড্রাগ সরবরাহ করার অপরাধে তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে।

রিয়ার বিরুদ্ধে বেআইনি মাদক রাখা ও পাচার, ষড়যন্ত্রের জন্য মাদকের ব্যবহার এবং মাদক ট্রাফিকিং এর পাঁচটি ধারা আনা হয়েছে। এ অপরাধ প্রমাণ হলে তার নূন্যতম দশ বছর এবং সর্বোচ্চ কুড়ি বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। জরিমানার পরিমাণ এক লক্ষ টাকা হতে পারে।

নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো রিয়ার তিনদিনের জেরার পর আর হেফাজতে নিতে চায়নি। তারা রিয়াকে সরাসরি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানসিনধে বুধবার তার মক্কেলের জামিনের আবেদন করতে পারেন।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে সিবিআই, নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে। রিয়ার হোয়াটস্যাপ মেসেজে ড্রাগ সংক্রান্ত কিছু বার্তা উদ্ঘাটিত হওয়ার পর ইডির অনুরোধে নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো এই তদন্তে সম্পৃক্ত হয়।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ে। সুশান্তকে নিয়মিত মারিজুয়ানা সরবরাহের সত্যটি সামনে আসে। রিয়া এই মামলায় দশম গ্রেপ্তার। এর আগে রিয়ার ভাই সৌভিক, সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, কুক দীপক সাওয়ান্ত, তিনজন ড্রাগ পেডলের বাসিত পরিহার, ইব্রাহিম কাইজন, জাইদ ভিলাটরা গ্রেপ্তার হয়েছে।

সৌভিক রিয়ার নির্দেশে এদের কাছ থেকে মারিজুয়ানা সংগ্রহ করে মিরান্ডা ও সাওয়ান্তের সহযোগিতায় তা পৌঁছে দিতো সুশান্তের কাছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এভাবে সুশান্তের বাড়ির মধ্যে ড্রাগ সিন্ডিকেট চলতো। মধ্যমনি ছিল রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত নিয়মিত মদ, গাঁজা, মারিজুয়ানা সহ অন্যায় নেশায় আবিষ্ট থাকতো। তার সুযোগ নেয় রিয়া। নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো জানাচ্ছে, বলিউড এর বৃহত্তম ড্রাগ সিন্ডিকেট এবার উদ্ঘাটন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *