৩ বছর পার করেছে খুলনা জেলা যুবদলের বর্তমান কমিটি। শুরুতে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে তাদের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এ কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় যুবদলের খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় এক নেতার একপদের যে নিয়ম সেটা ভঙ্গ হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘ ৬ মাসের বেশি সময় ধরে নিজ জেলায় একবারও আসেনি। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, করোনাকালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ছিলো- অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু যুবদল সে নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঘরবন্দী থেকেছেন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি খুলনার একাধিক মাদক মামলার আসামী হওয়ায় তার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বেশিরভাগ সময়ই গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। সাংগঠনিক সম্পাদককে বিভিন্ন সময়ে কর্মহীন মানুষের পাশে দেখা গেলেও সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে তেমন কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। এ সকল সমস্যার কারণে খুলনা জেলা যুবদলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নেতৃত্বশূন্যতার একটা চাপা ক্ষোভ দেখা যায়।
২০১ জন বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলেও অধিকাংশই দলীয় কর্মকাণ্ডে নিস্ক্রিয়। সভাপতি বিভিন্ন সময়ে বিএনপির কর্মকাণ্ডে উপস্থিত থাকলেও সাধারণ সম্পাদকের দীর্ঘ অনুপস্থিতি সংগঠনে স্থবিরতা এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সাধারণ সম্পাদকের ভয়ে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট বিষয়টি জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি কোভিড পজিটিভ। তবে সাধারণ নেতাকর্মীদের প্রশ্ন হলো এই প্রচারণাটি তিনি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। কারণ গত ৬ মাস ধরে একই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।