করোনার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা এবার ২০০ এর পরিবর্তে ১০০ নম্বরে নেওয়া হবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সবগুলো বিভাগীয় শহরে। তবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আলাদা পরীক্ষা দিতে হবে। এদিকে দীর্ঘ বন্ধ সেশন জটে পড়তে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

অতি মহামারির কারণে পাঁচ মাস স্থবির থাকার পর গত আগস্ট থেকে অনলাইনে পাঠদান শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এখনও সব বিভাগ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এতে যুক্ত হতে পারেনি।

৫০ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষার্থী ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থীই ডিভাইস ইন্টারনেট সুবিধা বা আর্থিক কারণে অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক শিক্ষক ক্লাস রেকর্ড করে পাঠাচ্ছেন। আমাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা নেই। এছাড়াও খারাপ নেটওয়ার্ক এর জন্য ভালোভাবে ক্লাস করা যায় না। সংযুক্ত হলেও সমস্যার কারণে শিক্ষক কী বলছেন তা বুঝা যায় না।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তবে আমাদের সবার আশঙ্কা আমরা সেশন জটে পড়তে যাচ্ছি। সবার পাঠদান নিশ্চিত করতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর বিভাগীয় পরীক্ষা নিতে চান শিক্ষকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, সব শিক্ষার্থীর কাছে আমাদের ক্লাসের সুযোগ সুবিধা যাতে পৌঁছে দিতে পারি, এসব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাছে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকার বিষয়টি সুবিবেচনা করে দেখবে।

এ অবস্থায় আবারও সেশন জটে পড়তে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে সব ছুটি বাতিল করে, অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করা হবে।

করোনার কারণে এবার ভর্তি পরীক্ষায় বড় দুটি পরিবর্তন আনছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২শ’র পরিবর্তে পরীক্ষা হবে ১শ নম্বরে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সব বিভাগীয় শহরে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিমা বলেন, ঢাকা যাতে শিক্ষার্থীদের আসতে না হয় সে জন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা নেওয়া হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।