কুপার টেস্ট দিয়ে নেপালের বিরুদ্ধে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার ফিজিও ফুয়াদ হাসান হাওলাদারে অধীনে যোগ দিয়েছিলেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা।
অনুশীলনের পর এদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, অনুশীলন পর্বের সবটুকু আগে থেকে তাদের জানা ছিল। তাই দীর্ঘদিন পর ফিরেও সমস্যা হয়নি।
আবাহনীর এই তারকা বলেন, ‘আগে থেকে সব নির্ধারণ করা ছিল। কোচ করিয়েছিল। আগেও করেছি কারও কোনও সমস্যা হয়নি। সবাই ভালোই করেছে।’
নেপালের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচগুলো বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। মোট ১৯ ম্যাচের ১২টি জয় পেয়েছে লাল-সবুজরা। ছয়টি ম্যাচে হারতে হয়েছে। একটি ম্যাচে ড্র হয়েছে। যদিও সম্প্রতি নেপালের পারফরমেন্স অনেক ভালো।
সাদ বলেন, ‘তাদের বিপক্ষে শেষ দুইটা ম্যাচ হেরেছি। আমরা চাই ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া। আমাদের সবার ইচ্ছা এক রকমই।’
দীর্ঘদিন পর ফিরে মাঠে ভালো করাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক কঠিন। আপনারা সবাই জানেন দলীয় অনুশীলন আর একক অনুশীলনের মধ্যে পার্থক্য অনেক। মাত্রই দলীয় অনুশীলন শুরু করেছি। আশা করি সব ঠিকঠাক মতো করলে ইনশাল্লাহ দ্রুত ফিট হয়ে মাঠে নামতে পারবো।’
লকডাউনে সাদকে দেখা গেছে কঠোর পরিশ্রম করতে। নিজ এলাকা সিলেটে শরীর চর্চাসহ বল নিয়ে অনুশীলনও করেছেন তিনি। তবে তার মতে যে যত বেশি পরিশ্রম করেছে মাঠেই তার ফল পাওয়া যাবে।
‘শেষ ছয়মাস আমরা যা করেছি সেটার ফল সবার সামনে আসবে। কেউ যদি বসে থাকে তাহলে আট-দশদিন অনুশীলন করে ভালো করতে পারবে না। যারা কঠোর পরিশ্রম করেছে তারাই ভালো করতে পারবে। বাংলাদেশ-নেপাল দুই দলের জন্যই একই। আগে থেকে পরিশ্রম করে থাকলে আমরাও এক সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত হতে পারবো।’ যোগ করেন সাদ।
প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়ার ৩৬ জনের মধ্যে অনেকেই এখনও যোগ দিতে পারেনি। আপাতত ১৪ জন নিয়ে শুরু হয়েছে অনুশীলন।
সাদ বলেন, ‘একসঙ্গে অনুশীলন করাটা অনেক জরুরি। অর্ধেক খেলোয়াড় অনুশীলন করছে, অর্ধেক যোগ দেয়নি। আশাকরি শিগগিরই তাড়া আমাদের সঙ্গে যোগ দিবে।’