ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’ থেকে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র্যাব। একইসঙ্গে বেডরুম থেকে বিপুল পরিমাণ ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ইরফান সেলিম থাকেন। সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের কোনও লাইসেন্স নেই। আর ওয়াকিটকিগুলোও অবৈধ, ওয়াকিটকিগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
এমপি হাজী সেলিমের গাড়িচালক রিমান্ডে
হাজী সেলিমের বাসা থেকে বিদেশি মদ, বিয়ার, ওয়াকিটকি ও অস্ত্র উদ্ধার
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে র্যাবের একটি দল হাজী সেলিমের ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে তার বাসা চাঁন সরদার দাদার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে।
প্রসঙ্গত, নৌ বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের সংশ্লিষ্ট ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এরপরেই অভিযানে নামে র্যাব ও পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীগুলো।
থানায় দাখিল করা অভিযোগে ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, হামলা চালিয়ে দাঁত ফেলে দেয় এবং জখম করে। পরে তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে রাখে পুলিশ।