তরুণ প্রজন্মের ব্যস্ততম সঙ্গীতশিল্পী নুজহাত সাবিহা পুষ্পিতা । রিফাত রাহুল খাঁনের একান্ত সাক্ষাতকারে পুস্পিতার গানের ভূবনের নানা দিক ফুটে উঠেছে স্বদেশ নিউজ২৪ এর বিনোদন পাতায়-
১.সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার ইচ্ছে কি ছোটবেলা থেকেই ছিল?.
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। মা গান করতেন৷ বাবা সাংবাদিকতা করতেন এবং সাথে আবৃত্তি ও উপস্থাপনার সাথে জড়িত ছিলেন। মূলত একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্য দিয়েই বড় হয়েছি। সেখান থেকেই গানের প্রতি ভালবাসা এবং সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার প্রবল ইচ্ছা জন্মেছে ছোটবেলা থেকেই।
২. মিডিয়াতে কত বছর যাবৎ কাজ করা হচ্ছে?
২০১৫ সালে চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমেই মিডিয়াতে যাত্রা শুরু। অর্থাৎ প্রায়৷ ৫ বছর যাবৎ মিডিয়াতে আছি। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি প্রতিনিয়ত ।
৩. মিডিয়াতে গানের ভূবনে
কাজের ব্যাপারে পরিবারের
সহযোগীতা কতটুকু ছিল?.
পরিবারের সাপোর্ট সবসময় পেয়েছি। মা এবং বাবা প্রতিনিয়ত আমার পেছনে শ্রম ব্যয় করছেন, তাঁদের জন্যই আজ এতোদূর এসেছি। আমি মনে করি আমার মাত্র শুরু হয়েছে, সামনে আরো অনেক পথ বাকি। মা বাবার সাপোর্ট ইন শাহ আল্লাহ সবসময় ই পাবো আশা করি।
৪.নতুন কী কাজ করছেন?
বর্তমানে যে মহামারি পরিস্থিতি চলছে তাতে কিছুটা হলেও মানুষকে সচেতন করার জন্য করোনা সচেতনতামূলক একটি গান প্রকাশ করেছি আমার ইউটিউব চ্যানেলে । গানটির কথা লিখেছেন আমার বাবা এবং সুর করেছি আমি নিজেই। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি গান করেছি, যা জাতীয় শোক দিবসে প্রকাশিত হয়েছে। এই গানটিও আমার বাবা লিখেছেন এবং আমি সুর করেছি। যেহেতু আমার বেসিক হচ্ছে নজরুল সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত নিয়ে একটি অডিও ও ভিডিও এলবাম করার ইচ্ছা আছে। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মা’কে নিয়ে একটি গানের রেকর্ডিং হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যেই। খুব শীঘ্রই রিলিজ হবে। এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে নিয়মিত প্রোগ্রাম করছি।
৫. বাংলা গানের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বলুন।
আমি মনে করি বর্তমানে খুব ভাল ভাল গান তৈরি হচ্ছে, যা দর্শকশ্রোতাদের মন জয় করতে সক্ষম হচ্ছে। এজন্য আমি খুবই আনন্দিত বোধ করি। অনেক প্রতিভাবান গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও শিল্পীরা বের হয়ে আসছেন।
৬.পড়াশুনা সম্পর্কে জানতে চাই
আমি ঢাকা সিটি কলেজ এ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
৭.গানের বাহিরে কিছু করার চিন্তা আছে কী?
গানের বাহিরে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি। একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখি।দেশের সেবায় নিয়োজিত হতে চাই। গানের পাশাপাশি উপস্থাপনা চালিয়ে যেতে চাই।
৮.আজ ৮ই নভেম্বরের আপনার জন্মদিন। জন্মদিনে দিনটি কিভাবে কেটেছে?
জন্মদিন মানেই আসলে কিছু না কিছু স্পেশাল। প্রতিটি জন্মদিনেই আমি বেশকিছু সারপ্রাইজ পেয়েই থাকি আমার পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে। গত বছর অসহায়, বস্তিবাসী ও পথশিশুদের স্কুল “জুম বাংলাদেশ” এ আমি আমার জন্মদিন উদযাপন করেছি। তাদের সাথে থেকে দিন কাটালে আসলে মন টা ই ভাল হয়ে যায়! এবারও ভেবেছিলাম সেই অসহায় শিশুদের সাথেই দিনটি উদযাপন করবো। তবে মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারনে সেটি হয়ত করা হবেনা। তবে চেষ্টা করবো পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আসলে আমার আনন্দ তাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার।
ছবিঃ পুষ্পিতার সৌজন্যে