আশরাফুল আলম || অনলাইন নিউজ ডেস্ক||
কিশোরগঞ্জ ভৈরবের বাশঁগাড়ী গ্রামের হাজী মোঃ ইসলামের মৃত পুত্র সুমনের স্ত্রী শাকিলা তার দুই দেবরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত বছরের ১৩ এপ্রিল ১৯ইং তারিখে তার স্বামী সুমন মিয়া স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে মৃত সুমন মিয়া দুটি কন্যা সন্তান রেখে যায়। কিন্তু শাকিলা স্বামীর মৃত্যুর পর কাউকে না জানিয়ে দুই কন্যা সন্তান রেখে পূর্বের প্রেমিকের সাথে গোপনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং যথারীতি নতুন স্বামীর সাথে লোকচক্ষুর আড়ালে ঘর সংসার শুরু করে। পরে বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে শাকিলার পিতা তার কন্যার বিয়ের বিষয়টি জেনে যায় এবং সরকারি স্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে সেকথা স্বীকার করেন।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শাকিলা অন্য স্বামীর ঘর করলেও মৃত স্বামীর সম্পত্তির প্রতি তার লোভ থেকে যায়।
সরেজমিনে, মৃত সুমনের ছোট ভাই মামুন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমার বড় ভাই সুমন জীবিত থাকাকালীন অবস্থায়ও বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে আমার ভাবীর পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িত ছিল। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কিছুদিন পরেই আমার ভাবী শাকিলা কাউকে না জানিয়ে পাশের বাড়ীর ফজলু মিয়ার ছেলে মো: নবী হোসেনকে গোপনে বিয়ে করে এবং সে সম্পত্তির লোভে পরিকল্পিত ভাবে আমার ছোট ভাই রিমন এবং আমার নামে মামলা করে।
এদিকে, শাকিলা বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর বাড়ীতেই আমার দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করি। আমার ছোট দেবর রিমন আমার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর আমাকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেয়। গত ১০ মার্চ রাতের বেলায় আমার গৃহস্থালি কাজকর্ম সেড়ে আমার সন্তাদের নিয়ে আমার রুমে ঘুমিয়ে পড়ি। তখন পাশের রুম থেকে দেবর রিমন মিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার ঘরের দরজা খুলে আমার মুখচাপা দিয়ে খাটের মধ্যে শুয়ে ফেলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমার গুঙ্গানীতে আমার ৯ বছরের শিশু শুকরিতা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে। আমিও কান্নাকাটি করতে থাকি।
রিমন মিয়া ও শাকিলার সাথে উক্ত ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে রিমন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আমার বড় ভাবী যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। উনাকে আমি অনেক সম্মান করতাম, তবে উনি যে মিথ্যে অপবাদ আমার উপরে দিয়েছেন তা সত্যিই দুঃখজনক। আমার ভাবী উক্ত ধর্ষণের যে ঘটনার দিন উল্লেখ্য করেছেন তারিখটি ছিল ১০ই মার্চ, ঐদিনে আমি ছিলাম ঢাকায় আর আমার ভাবী ছিল তার পিত্রালয় নরসিংদীর বেলাব এর নিলক্ষীয়া গ্রামে। এছাড়া আমার ভাতিজী শুকরিতাও ঐদিন আমার মেজো ভাই মামুন ভাইয়ের পুরান ঢাকার বাসায় ছিল।
আসামীদ্বয় সূত্রে জানা যায়, ১৬-০৩-২০২০ইং তারিখে শাকিলা বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ কোর্টে নারী ও শিশু দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) তার স্বামী মৃত সুমন মিয়ার ছোট দুই ভাই রিমন মিয়া (৩০) ও মামুন মিয়া (৩৫)’র নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, পিটিশন মামলা নং : ৬০/২০২০ ইং। ইতিমধ্যে ২য় আসামী মামুন এ মামলা থেকে জামিনে মুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।