বিনোদন ডেস্ক, সম্পাদানয়-আরজে সাইমুর: সম্প্রতি ইফতেখার চৌধুরীর নতুন সিনেমা ‘মুক্তি’র মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে নবাগত চিত্রনায়িকা রাজ রিপার।
জমকালো আয়োজনে রাজ রিপার অভিষেক করেছেন পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী। আর নবাগত এই চিত্রনায়িকার বিপরীতে সাতজন নায়ক থাকছেন ও দুজন অতিথি হিরো সহ ৯ জন। যা রাজ রিপার জন্য একটা দারুন চমক ও চ্যালেঞ্জ।
রাজ রিপা জানান- আমি পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান। এই সিনেমায় আমাকে সিলেক্ট করার পর থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করি। করোনার মধ্যে আমি গত চার মাস ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিজেকে আরও ভালোভাবে গড়ে তোলার জন্য ব্যায়াম করা, মুভি দেখাসহ নানা ধরনের প্রশিক্ষণও নিয়েছি। মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। বাইক চালানো শিখেছি। যতদিন পর্যন্ত মুভি শেষ না হয় ততদিন পর্যন্ত এই চর্চা চলতেই থাকবে।
আমার চরিত্রটা একজন সাহসী নারীর। নোয়াখালীর গ্রামের একটা গরিব মেয়ে। সে নিজেকে সেরা মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। তার কোনো কিছুতেই না নেই, সে সবকিছুই পারে। সে নিজেকে এমন শক্ত করে গড়ে তুলে যে ছেলেরাও তাকে দেখে ভয় পাবে। খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা চরিত্র। ডিসেম্বরের শেষের দিকে নোয়াখালীতে শ্যুটিং শুরু হবে।
নিজেকে সিনে ইন্ডাস্ট্রিতেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমার সব ভাবনা জুড়ে এখন কেবলই সিনেমা। নিজের পায়ের তলার মাটিটুকু শক্ত করাই এখন আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। সিনে ইন্ডাস্ট্রির এই দুঃসময়ে আমার আগমন ঘটল রুপালি পর্দায়, জানি না কতটুকু এগোতে পারব, তবে আত্মবিশ্বাস আছে। আশা করছি সবার সহযোগিতা নিয়ে নিশ্চয় নিজের স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাব। তাই সবার কাছে একটাই চাওয়া আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নবাগত চিত্রনায়িকা ঢাকায় আসেন। সেই বছরই কয়েকটি নাটকে কাজ করার সুযোগ পান রিপা। এরপর নিজের অভিনয়দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ২০১৭ সালের জুন মাসের দিকে ‘প্রাচ্যনাট’ থিয়েটারে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ভর্তি হন রিপা। সেই সময়ই জাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ২০১৮ সালের মার্চের দিকে ‘দহন’ ছবিতে যুক্ত হন। তারপর ‘দহন’ সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সিনেমা অঙ্গনে পথচলা শুরু হয় নবাগত চিত্রনায়িকা রাজ রিপার।
রাজ রিপার জন্ম-বেড়ে ওঠা মোংলায়। সেখানে ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। নানা ধরনের খেলাধুলায় অংশ নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিয়েছেন রিপা। নাচ-গানও শিখতেন। এগুলো তার ভালো লাগত। সেই ভালোলাগা থেকেই আজকের এই পর্যায়ে আসা।