রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
সাইফুল ইসলামের স্ত্রী সুমি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাসার কাছেই খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় সুমন, রিপন, রাসেল, অনিক, ডালিম, চান্দি মামুন ও কচিসহ ১০ জনের সঙ্গে কথা কাটকাটি হয় সাইফুল ইসলামের। এক পর্যায়ে রিপন নামে একজন তাকে পেটে-বুকে তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, কী কারণে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আমার স্বামী খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল্লাহ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, খিলগাঁও থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাইফুল ইসলাম নামে একজন এসেছেন। আমরা জানতে পেরেছি তিনি খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। পূর্বশত্রুতার জেরে সাইফুলকে গুলি করে রিপন। তার বুকের ডানপাশে একটি, পেটের বামপাশে একটিসহ মোট তিনটি গুলি লাগে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গতকাল ১৬ মে সকালে খিলগাঁও ২নং ওয়াড যুবলীগ সেক্রেটারি সাইফুলকে দেখতে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনিবার্হি সদস্য ও ২ নং ওয়াড কাউন্সিলর আনিস, ২নং ওয়াড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি রুবেল হাস্পাতালে আসেন। সোহেল শাহরিয়ার সাইফুলকে দেখে যান। আগের দিন ২নং ওয়াড যুবলীগ সভাপতি গালিব ও ১নং ওয়াড সেক্রেটারি রাসেল এসেছিলেন। এছাড়া ১৮ নং ওয়াড এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহিন ঘটনার প্রথম দিন থেকে এখন পযন্ত সাইফুলের খোজ-খবর ও দেখা শুনা করছেন। এলাকার বিভিন্ন স্ততের মানুষ সাইফুলকে গুলির বিচার দাবি করেছেম।
অভিযুক্ত আসামীরা সবাই পলাতক। প্রশাসন থেকে র্যাব, পুলিশ, সিআইডি তাদের খুজছে। এই হত্যার চেষ্টা নিয়ে সবুজ বাগ থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়ে এখনও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সবুজবাগ থানার তেমন ভুমিকা দেখা যায় নাই এই মামলা নিয়ে। তাহলে কি সবুজবাগ থানা এই আসামিদের নিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সবুজবাগ থানার কিছু বাসিন্দা বলেন সাইফুলকে হত্যার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, তারা বিভিন্ন চাদাবাজি, মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের নামে একাধিক মামলা আছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জরুরি ভাবে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তাদের কারনে সাধারণ মানুষ ভালভাবে বসবাস করতে পারছেনা।