ইরানে নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরাইল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হায়াত বলেছেন, ইরানে এ যাবত যেসব প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তার মধ্যে রাইসি হলেন সবচেয়ে কট্টরবাদী। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ জানানো উচিত। তিনি আরো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের নতুন এই নেতা দেশটিতে পারমাণবিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইব্রাহিম রাইসিকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ছিল তার অনুকূলে। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের শীর্ষস্থানীয় বিচারক ছিলেন এবং তাকে কট্টর রক্ষণশীল হিসেবে দেখা হয়।
নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন আগামী আগস্টে। তবে আগে থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের অধীনে রয়েছেন। অতীতে রাজনৈতিক বন্দিদের ফাঁসি দেয়ার সঙ্গে তার যোগসূত্র রয়েছে।
বিজয়ী ঘোষণার পর তিনি তিনি সরকারে জনগণের আস্থাকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি হবেন পুরো জাতির নেতা। তার ভাষায়, আমি কঠোর পরিশ্রম করবো, বিপ্লবী পদক্ষেপ নেবো এবং দুর্নীতি বিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।
পক্ষান্তরে টুইটারে ইসরাইলের লিওর হায়াত বলেছেন, ইব্রাহিম রাইসি হলেন একজন উগ্রবাদী। তিনি ইরানের সামরিক কর্মকাণ্ডে পারমাণবিক কর্মসূচিকে আরো দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল এবং ইরান ‘শ্যাডো ওয়ার’ বা ‘ছায়াযুদ্ধে’ লিপ্ত। এতে প্রতিটি দেশ ঢিলটি দিলে পাটকেলটি খেতে হবে নীতি গ্রহণ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত তারা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ থেকে দূরে রয়েছে। মাঝে মাঝেই তাদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি তা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি অনেক জটিল। এর বড় উৎস হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড। গত বছর ইরানের শীর্ষ স্থানীয় পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়। এর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে ইরান। এপ্রিলে ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের এক স্থাপনায় হামলা হয়। এর জন্যও ইসরাইলকে দায়ী করে ইরান।
ইরান বার বার দাবি করছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু ইসরাইল সেটা বিশ্বাস করে না। তারা মনে করে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইরান।