ইতিহাস রচনা হয়েছে। প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০’তে ম্যাচ ও সিরিজ দুটোই জিতেছে বাংলাদেশ। তারপরও স্বস্তি খোঁজার উপলক্ষ নেই এতটুকু! সেটা সিরিজ পরবর্তী পারফরমেন্স কাঁটাছেঁড়াতেই স্পষ্ট!
এমন তো না এই সিরিজে ব্যাট-প্যাডগুলো ব্যাগ বন্দি ছিল লিটন, মুশফিক, সাকিবের! তারপরও কেনো শীর্ষ পাঁচে নেই ওরা। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে ১৫৯ করে সবার সেরা হয়ে গেলেন কিউই কাপ্তান লাথাম। টপ ফাইভে ওদেরই তিন। দুর্বল স্ট্রাইক রেটে মাহমুদউল্লাহ-নাঈম শেখের উপস্থিতি স্বস্তির তুলনায় অস্বস্তির খোরাকই যোগায় বেশি।
মিরপুরের স্লো টার্নিং উইকেট কিউইদের জন্য বদ্ধভূমি। অথচ ওরাই এখানে প্রাণের সঞ্চার করেছে। আর তাই মাত্র ৩.৬৫ ইকোনমি রেটে ১০ উইকেট নিয়ে এজাজ পাটেল শ্রেষ্ঠ শিকারি। সেরা পাঁচে আরও দুজন, ম্যাকঞ্চি আর রাচি রবীন্দ্র। নাসুম, মোস্তাফিজরা থাকলেও পেছনের সারিতে।
ক্রিকেটের মারকাটারি এই ফরমেটে রান তুলতে হয় বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। সেখানে টাইগার ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট একশ’র নিচে। সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকিয়েছেন কিউই ব্যাটাররা। বাউন্ডারির ক্ষেত্রেও তাই। কোন ফিফটি নেই স্বাগতিকদের। সর্বোচ্চ ইনিংসটাও নিউজিল্যান্ডের দখলে।
এই সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়াবে কে? তা নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে ঢের। শেষ পর্যন্ত সব ম্যাচে কিপিং করা সোহান অবশ্য খারাপ করেননি। টম লাথামের সঙ্গে সমান পাঁচ ডিসমিসাল তার। এই এক জায়গাতেই কিউই-টাইগার সামনে সমান।
এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি হতাশা উপহার দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। না তার ব্যাট হেসেছে, না তিনি সফল হয়েছেন বোলিংয়ে এসে। চার ম্যাচে মাত্র ৪৫ রান কোনভাবেই সাকিব সুলভ নয়। আর বল হাতে মাত্র চার উইকেট আক্ষেপ আর অপেক্ষা দুটোই বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে ঠিকই, প্রথমবারের মতো উঠেছে টি-২০ র্যাংকিংয়ের ছয় নম্বরেও। কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে বাগে পেয়েও হোয়াইটওয়াশ করতে না পারায় হারিয়েছে মূল্যবান সাত রেটিং পয়েন্ট। যার ফলে শীর্ষ ছয় থেকে টাইগারদের অবনমন ঘটতে পারে যে কোনো মুহূর্তে!