রাজধানীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিশেষ করে গোলাগুলির মতো ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পাবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা একেএম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যদি কোথাও কোনও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পাবে না। এসব বিষয়গুলো কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৫ মে রাজধানীর সবুজবাগে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ ২নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি সাইফুল ইসলামকে আধিপত্যের জেরে গুলি করা হয়। এ সময় অপরাধীরা সাইফুলকে লক্ষ করে তিনটি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনায় সবুজবাগ থানায় ১৫ মে একটি মামলা ও ৯ জনকে আসামি করা হয়।
হাফিজ আক্তার বলেন, এই ঘটনায় এরই মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু গোলাগুলির ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বরুড়া থানা এলাকা থেকে মনিরুজ্জামান সুমন ও মো. ইমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল এবং তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এই গোলাগুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিন জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানায়, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের বাল্যবন্ধু ছিলেন কচি, রিপন ও সুমন। তারা একসঙ্গেই রাজনীতি শুরু করেন। সাইফুল ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেও রিপন ও সুমন তা পাননি। এ নিয়ে সাইফুলের সঙ্গে অন্যদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
সংগঠনে পদ না পাওয়া নিয়ে বিরোধে রাজধানীতে যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
তিনি জানান, ঢাকার খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির মতিঝিল বিভাগ।
কুমিল্লার বরুড়ার আমড়াতলী এলাকা থেকে শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দুজন হলেন মনিরুজ্জামান সুমন ও মো. ইমন।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার দুজনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী এলাকা থেকে দুটি পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার জানান, গত ১৫ মে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনের রাস্তায় সুমন ও তার সহযোগীরা সাইফুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। পরে তারা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ সাইফুল নিজেই একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে ঢাকা মেডিক্যালে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী সবুজবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। সে মামলার তদন্ত শুরু করে ডিবির মতিঝিল বিভাগ।
হাফিজ আক্তার বলেন, সাইফুল ইসলামের বাল্যবন্ধু ছিলেন কচি, রিপন ও সুমন। তারা একসঙ্গেই রাজনীতি শুরু করেন। সাইফুল ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেও রিপন ও সুমন তা পাননি। এ নিয়ে সাইফুলের সঙ্গে অন্যদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়।