পাবনার বেড়া পৌরসভার মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর মিছিলে বোমা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই বোমা বিস্ফোরণে নৌকার প্রার্থীর চার কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বেড়া পৌর সদরে পাটপট্টির কাছে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ‘বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু’ উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা একটি নির্বাচনি মিছিল বের করেন। মিছিলটি পাটপট্টি অতিক্রম করার সময় হঠাৎ বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় বিস্ফোরণে নৌকা প্রার্থীর চার কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসিফ শামস্ রঞ্জন বুধবার সকালে জানান, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কেউ এ হামলা চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, তার ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, এর আগে গত ১৭ নভেম্বর রাতেও বেড়া পৌরসভার হাতিগাড়া চৌরাস্তা মোড়ে তার নির্বাচনি প্রচার মিছিলে হামলা চালানো হয়। এতে তার ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছিলেন।
বেড়া মডেল থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, রাতে তারা খবর পান নৌকার প্রার্থীর মিছিলে হামলা চালানো হয়েছে। সংবাদ পাওয়ার পর পরই তিনি পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা অবিস্ফোরিত অবস্থায় একটি ‘ককটেলসদৃশ বস্তু ’পান।
তিনি জানান, সেটি সাবধানতার সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি বোমা, ককটেল না অন্য কিছু তা পরীক্ষার পর জানা যাবে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও জানান, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কেউ তাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।
উল্লেখ্য, বেড়া পৌর নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। যাচাই-বাছাই হয়েছে ৪ নভেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১১ নভেম্বর। ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ নভেম্বর। বড়া পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৪ হাজার ২০০ জন।
এ নির্বাচনে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপির ছেলে, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা অ্যাড. আসিফ সামস রঞ্জন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। টুকুর ছোট ভাই, বেড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন ও ভাতিজি সাদিয়া আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।