স্ত্রীকে মারধর, হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু

বরগুনা সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে সালমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ঘটবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্বামী ফারুক আকন একই এলাকার হামেদ আকনের ছেলে। তার দাবি, তার স্ত্রী ছারপোকা মারার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

মৃত সালমার মেয়ে সুমাইয়া ও নাবিলা বলে, দুপুরে মা চাল ভাজছিল। বাবা এসে মাকে গালাগাল করে মারধর শুরু করে। আমরা ভয়ে ঘরের বাইরে চলে যাই। পরে মাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মৃত সালমা বেগমের মা বিলকিস বেগম ও বাবা মোকলেস মিয়া বলেন, যৌতুকের দাবিতে সালমাকে প্রায়ই নির্যাতন করত ফারুক। কিছু দিন আগেও তিন লাখ টাকা দিয়েছি। তার পরও সে যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করে আসছিল। আজকেও সে সালমাকে মারধর করে আহত করে এবং বিষ খাওয়ায়।

পরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে সালমা মারা যায়। আমরা খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসে মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পাই।

অন্যদিকে সালমার স্বামী ফারুক দাবি করেন, সালমা সবসময় আমাকে পরকীয়ার জন্য সন্দেহ করত। এসব বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চড় থাপ্পড় দিয়েছিলাম। এতে সে ঘরে থাকা ছারপোকা মারার ওষুধ সেবন করে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

বরগুনা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহার রঞ্জন বৈদ্য জানান, হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসাধীন দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহম্মদ বলেন, নিহত সালমার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *