করোনার বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও আন্দোলনে সক্রিয় হচ্ছে বিএনপি। আগামী মাসখানেক ধারাবাহিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে দলের স্থায়ী কমিটি। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে চাপে রাখার পাশাপাশি বড় আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করতে চায় দলটি। সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে দলীয় কর্মসূচি স্থগিত রাখে বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম মানববন্ধনের মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি শুরু করেছে।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্দলীয় সরকারের অধীনে ‘গ্রহণযোগ্য এবং অংশীদারিত্বমূলক’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনটি এবার ভিন্নভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্দলীয় সরকারের সাফল্য এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক আলোচনাসভা করবে তারা।
আগামী সপ্তাহ থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচি শুরু হবে বলে স্থায়ী কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয়েছে। এরপর খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে তাঁর চিকিৎসার দাবিতে স্থগিত জেলাভিত্তিক সমাবেশের কর্মসূচিতে ফিরতে চান কেন্দ্রীয় নেতারা। এ কর্মসূচি শেষ হলে বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে আজ বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ধারাবাহিক এসব কর্মসূচি সফল করতে গতকাল বুধবার দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে কৃষক দলের আলোচনাসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করুন। শিগগিরই কর্মসূচি দেওয়া হবে। সেই কর্মসূচিতে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় নেতাদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচির মাধ্যমে সাংগঠনিক অবস্থার একটি চিত্র পেয়েছেন তাঁরা। নেতাকর্মীরা সাহস নিয়ে রাজপথে বের হচ্ছেন, কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারাও ভেঙেছেন।
দলের এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর জেলাভিত্তিক সমাবেশে প্রশাসন বেশির ভাগ জায়গায় ‘বাড়াবাড়ি’ করেনি। তাই কর্মসূচিতে অনেক লোকসমাগম হয়েছে। মাঠে নামার এই সুযোগটা কাজে লাগাতে তাঁরা ধারাবাহিক কর্মসূচি দিচ্ছেন।