দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬১ রানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ দল।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টায় দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলে সিরিজ নিশ্চিত।
তাই বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। একই রকম গুরুত্বপূর্ণ মুশফিকুর রহিমের কাছে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের সেঞ্চুরি পূরণ হয়েছে বাংলাদেশ দলের এ অভিজ্ঞ তারকার।
আঙুলের চোট কাটিয়ে দলে ফেরার মাধ্যমেই ১০০তম ম্যাচ খেলতে নামছেন তিনি।
টসে জিতে ব্যাট হাতে নিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানলেন আফগানিস্তান দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
ভারের দ্বিতীয় বলেই মিড অফে চার মেরেছেন মুনিম, বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম চার সেটি। কিন্তু এক বল পরই বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম উইকেটের পতনও হলো মুনিমের আউটে।
ওভারের দ্বিতীয় কবলে মিডঅফে ক্যাচ হাঁকালেও চতুর্থ বলে ওই একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মুনিম শাহরিয়ার।
ওই ৪ রানই মুনিমের আজকের সংগ্রহ। এরপর ব্যাট হাতে নামেন গোটা সিরিজের সেরা ব্যাটার লিটন দাস। কিন্তু আজ ব্যর্থ হলেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা এ ব্যাটার।
এরজন্য লিটনই দায়ী। মাঠে নেমেই আগ্রাসী হয়ে খেলেন তিনি। বল করতে এসে ফজল হক ফারুকির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় লিটনের। আম্পায়ার এসে লিটনকে সরিয়ে দেন। পরের বলে ফারুকিকে ছক্কা হাঁকান লিটন।
পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে বদল আনে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে আনা হয়। আর তাতেই কাজ হয়। তার প্রথম বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন লিটন। টাইমিংয়ের ভুলে বল বেশি দূর উড়তে পারেনি। ক্যাচ লুফে নেন শরফুদ্দিন আশরাফ।
লিটনের সাজঘরে ফেরার পর ব্যাট হাতে নেমেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অন্যপ্রান্তে ১৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত ওপেনার নাঈম শেখ।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান।