হাবিপ্রবিতে ‘জিনোম সিকোয়েন্স’ ল্যাব চালু

মানুষ, প্রাণী কিংবা উদ্ভিদের যেকোনো ধরনের রোগের কারণ ও জীবন রহস্য উন্মোচন এবং সেই অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসা দেওয়ার সুবিধার্থে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) চালু হলো অত্যাধুনিক জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাব ও রিসার্চ সেন্টার। রোববার সন্ধ্যায় এ অত্যাধুনিক গবেষণাগারের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

উদ্বোধনকালে শিক্ষমন্ত্রী বলেন, আধুনিক এই ল্যাব দেশের গবেষকদের গবেষণা কাজের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে বেশ ভূমিকা পালন করবে। প্রাণী কিংবা উদ্ভিদের যেকোনো রোগের চিকিৎসার আগে জরুরি রোগ নির্ণয় ও এর জীবন রহস্য উন্মোচনের। আর এসব গবেষণার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত আধুনিক গবেষণাগারের।

রোববার সন্ধ্যায় এই গবেষণাগারের উদ্বোধনের পাশাপাশি মুজিবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জোতির্ময় বঙ্গবন্ধু স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

হাবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মশিউর রহমান, হাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হাবিপ্রবির প্রফেসর নুর এ নাজমুন নাহার ও সহকারী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন দরুদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই ল্যাবে রয়েছে- পিসিআর, আরটিপিসিআর, ডাটা এ্যানালাইজড, ডিএনএ/আরএনএ নির্ণয়, খাদ্য কিংবা উদ্ভিদে হেভি ম্যাটাল নির্ণয় (আর্সেনিক, মেলামাইন), ডিজিজ ডায়াগনষ্টিক ইউনিট, ফুড নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্যামিক্যাল এ্যানালাইসিস ইউনিট, মেটেরিয়াল সায়েন্স ইউনিট, সেল অ্যান্ড টিস্যুচালকার ইউনিট, ফোর আইআর ল্যাব। এই ল্যাবে যেকোনো জীবানু, ছত্রাক, ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়া বা যেকোনো ধরনের অনুজীব যেগুলো মানুষ, প্রাণী কিংবা উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টিকারী তাদের জীবন রহস্য উন্মোচন করা যাবে।

ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সেইসব রোগের চিকিৎসা দেওয়া যাবে। একইসঙ্গে মানুষ, প্রাণী কিংবা উদ্ভিদে যদি কোনো অপরিচিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় তাহলে খুব সহজে অল্প সময়ের মধ্যে রোগ নির্ণয় করা যাবে। এই ল্যাব স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব খাত থেকেই করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *