পাবনা পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী বৃষ্টি হক (১২) মায়ের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। পড়ার জন্য মা বকা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেয়েটি এ ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে।
বৃষ্টি হক পাবনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গোবিন্দা দেওয়ানবাড়ি এলাকার দরিদ্র নির্মাণ শ্রমিক (রাজমিস্ত্রি) আয়নুল হকের মেয়ে।
এদিকে বৃষ্টির এই অকাল মৃত্যুতে তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়া না পারায় বৃষ্টির মা পাপিয়া খাতুন বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েকে গালমন্দ করেন। এর পরই মা পাপিয়া খাতুন মেয়েকে খেতে না দিয়ে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করতে পৌরসভায় যান। এই ফাঁকে অভিমানী বৃষ্টি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে মা বাড়ি ফিরে এসে ডাকাডাকি করে বৃষ্টির কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় বৃষ্টিকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ব্যাপার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
এদিকে পাবনা পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদ ইসলাম বলেন, নির্মাণ শ্রমিক আয়নুল হকের ১ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে বৃষ্টি ছিল ছোট। বৃষ্টি স্কুলেও ছিল খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু তার অকালে এভাবে ঝরে যাওয়া তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। বৃষ্টির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।