রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারীর দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুর্গাপুরের পানানগর ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তাদের জামিন নামঞ্জুর করে রোববার দুপুরে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল বাহার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শফিকুল ইসলাম তরফদার। কারাগারে যাওয়া চার আসামি হলেন- দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহার আলী খাঁ, সাধারণ সম্পাদক এসএম কহিদুল ইসলাম, পানানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু মাস্টার এবং মাহবুবুর রহমান লাল্টু।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই চার আওয়ামী লীগ নেতা সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর কালিনগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনের এমপি প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান রহমানের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পরদিন এমপির লোকজন দুর্গাপুর উপজেলা সদরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি এমপির ব্যক্তিগত সহকারী শফিকুল ইসলাম তরফদার বাদী হয়ে ওই চারজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় চার আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। কিন্তু জামিনের মেয়াদ গত ৩০ মার্চ শেষ হয়। এরপর রোববার রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। কিন্তু তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।