আসন্ন সম্মেলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ। এবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা করে দলীয় পদবী, মনোনয়ন বাণিজ্য এবং দখল বাণিজ্য প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল।
শনিবার কক্সবাজার শহরের এক অভিজাত রেস্তোরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
কায়সারুল হক জুয়েল বলেন, আমার বাবা কখনো কোনো অপকর্ম প্রশ্রয় দেননি। আমিও নিজে কখনো অন্যায় কাজে জড়িত নেই ও ছিলাম না। কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই নাই, দিবও না।
জুয়েল বলেন, আজকে চারিদিকে রাজনীতির নাম দিয়ে নানা অপকর্ম চলছে। তাদের অপকর্মগুলো দলের দুর্নাম ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশাল অর্জনকে ধূলিসাৎ করছে। আমি সেই অনিয়মকে ভাঙ্গতে এবং জেলা আওয়ামী লীগের হারানো ঐতিহ্য ফিরাতে আসন্ন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রার্থী হয়েছি।
কায়সারুল হক জুয়েল জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত আমৃত্যু সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একেএম মোজাম্মেল হকের কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
জুয়েল সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, দলের স্বার্থে রাজনীতি করতে গিয়ে ১/১১ এর সময় গ্রেফতার হয়ে নির্মম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। দীর্ঘ ৯ মাস জেল খেটেছি তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে বেঈমানি করিনি। আপোষ করিনি অন্যায়ের সঙ্গে।
৮০’ দশকে পরিবারের আর্থিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরে জুয়েল বলেন, সে সময়ে আমাদের পরিবারে দৈনিক ইনকাম ছিলেন ৫০০ টাকা। সেখান থেকে পরিবারের জন্য ২০০ টাকা রেখে ৩০০টাকা পার্টির জন্য ব্যয় করতেন বাবা। দলের কঠিন সময়ে বাবা দলকে আঁকড়ে ধরেছিলেন বলেই নেতাকর্মীরা বাবাকে কক্সবাজার আওয়ামী লীগের বটবৃক্ষ হিসাবে আখ্যায়িত করেন। আমি বাবার সততাকে বুকে ধারণ করে রাজনীতির মাঠে আছি।
সংবাদ সম্মেলন ও ইফতার পার্টিতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।