বকেয়া বেতন,ওভারটাইমের মজুরি ও ঈদ বোনাস দাবিতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে কটন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা।
শনিবার সকাল ৯টায় মিরপুর মূল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।
সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেয়। এতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১২ নম্বর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিরপুর ১১ নম্বর (বিকল্প পথ দিয়ে) সড়ক দিয়ে যানচলাচল করছে।
এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে গত ৩ দিন রাত জেগে পাহারা দিয়েও গার্মেন্ট মালিকের দেখা পাননি শ্রমিকরা। মালিক যাতে গার্মেন্ট থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে না পারে এ জন্য পাহারা বসায় শ্রমিকরা। এমনকি বাসায় গিয়েও মালিকের দেখা পাননি শ্রমিকরা।
শুক্রবার এ নিয়ে যুগান্তরে ‘মালিক উধাও রাত জেগে গার্মেন্ট পাহারা শ্রমিকদের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
শ্রমিকরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে বকেয়া বেতন দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। মার্চ মাসের বেতন, ওভার টাইম, সার্ভিস চার্জ ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সাড়ে তিনশো শ্রমিক গার্মেন্টের ভেতর অবস্থান নেন। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কয়েক দফা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এর পর রাতে গার্মেন্টের সামনে পালাক্রমে পাহারা বসান শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা আরও জানান, গত দুদিন কয়েকশ শ্রমিক মিছিলসহ মিরপুর থেকে উত্তরায় বিজিএমইএ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গেছেন। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্বস্ত করেছে ২৫ এপ্রিল সমস্যার সমাধান হবে।
গার্মেন্ট অপারেটর মালেকা বলেন, তিনদিন রাত জেগে পাহার দিয়েও মালিকের দেখা পাইনি। এমনকি মিরপুর ১২ নম্বর বাসায় গিয়েও দেখি তালা মারা। অনেক গরম পড়েছে। তার পরও পায়ে হেঁটে শুক্রবার বিজিএমইএ অফিস পর্যন্ত গিয়েছি। তারা বলেছেন ব্যবস্থা করে দেবেন। রমজান মাসে এতো শ্রমিককে যারা কষ্ট দিয়েছেন আল্লাহ তাদের বিচার করবেন।
বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, শ্রমিকরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আমদের কাছে এসেছিল। আমারা শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে ঈদের আগেই সমাধান করব।
পল্লবী থানার ওসি বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করেছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করছি।