পাবনায় ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে ৭ম শ্রেণির এক ছাতকে ছাত্রকে গাছে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানা পুলিশ অভিযুক্ত কামাল হোসেন ভুঁইয়াকে (৩৫) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার কামাল হোসেন বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন সিসিডিবির একজন মাঠকর্মী।
গত সোমবার বিকালে আটঘরিয়া পৌরসভার বিশ্রামপুর মহল্লায় নির্যাতনের ওই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দায়ের লিখিত অভিযোগের বরাত দিয়ে দিয়ে পুলিশ জানায়, আটঘরিয়া উপজেলার বিশ্রামপুর মহল্লার জনৈক কামাল হোসেন ভুঁইয়ার মেয়ে আটঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। একই স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিক হোসেন (১১) তার মেয়েকে ইভটিজিং করেছে- এমন অভিযোগে কামাল হোসেন ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান।
এরপর নিজের বাড়িতে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে এলাকাবাসী ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বুধবার নির্যাতিত ছাত্রের মা জাহানারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলেকে কামাল হোসেন ভুঁইয়া কৌশলে একজনকে দিয়ে একটি দোকানে নিয়ে যান। এরপর তাকে জোরপূর্বক বাড়ি নিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধেন। এরপর ওই ছাত্রী তার ছেলেকে জুতা দিয়ে আর তার বাবা ও পরিবারের অন্যরা লাঠি দিয়ে পেটান এবং কিল ঘুসি মারেন।
এক পর্যায়ে তারা তাকে গলা চেপে ধরে। নির্যাতনে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নির্যাতনের দৃশ্যের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীর মা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটঘরিয়া থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে।
আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ওই ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সে ভালো আছে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলার প্রধান আসামি কামাল হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।