নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে দুইপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে সড়কি দিয়ে কুপিয়ে মিজানুর শরীফ নামে এক কৃষককে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার শামুকখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের লোহাগড়া ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত মিজানুর শরীফ (৫০) ওই গ্রামের মৃত ওয়াদুদ শরীফের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে আলিম কাজী সমর্থিত লোকজনদের সঙ্গে আসকার খন্দকার সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। মঙ্গলবার দুপুরে আসকার খন্দকারের নেতৃত্বে হোসেন খন্দকার, জাহিদ খন্দকার, মনির খন্দকার ও শহিদ খন্দকারসহ অর্ধশতাধিক লোক প্রতিপক্ষ ওবায়দুর কাজীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক গরু ধরে নিয়ে যায়।
পরে ওই লোকজনই কালাম কাজীর বাড়ি থেকে গরু ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা, রামদা, ঢাল-সড়কি নিয়ে মাদ্রাসা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায় আসকার খন্দকারের লোকজন ঘটনাস্থলে সড়কি দিয়ে কৃষক মিজানুর শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে।
সংঘর্ষে ইমদাদুল কাজী, মফিজুল কাজী, সৈয়দ আশরাফ আলী ও সোহাগ কাজীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের লোহাগড়া ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে।