ভারতের ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকট্র্যাকার’ বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
মুহূর্তেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সৌরভ কি তবে সত্যিই সভাপতির পদ ছাড়লেন?
এদিকে ভারতের অন্য দুই সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস নাউ’ ও ‘এএনআই নিউজ’ জানায়, ‘সৌরভ গাঙ্গুলি পদত্যাগ করেননি।’ বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিন্তু তাতেও থামেনি গুঞ্জন। এমনকি এই খবর চলে যায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কানে। তিনি ফোন করেন সৌরভকে।
প্রশ্ন উঠতে পারে সৌরভের পদত্যাগের গুঞ্জনটা এতোটা ছড়িয়ে পড়ার কারণ কী? ক্রিকট্র্যাকার এ তথ্য কোথায় পেল?
আসলে ভারতের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার ও সংগঠকের এক টুইটার পোস্টকে ঘিরেই এমন চাঞ্চল্য।
সৌরভ সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘২০২২ সাল দিয়ে আমার ক্রিকেটে ১৯৯২ সাল থেকে শুরু যাত্রার ৩০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তখন থেকে ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, এটি আমাকে আপনাদের সবার সমর্থন এনে দিয়েছে। এই সফরে যারা অংশীদার ছিলেন, আমাকে সমর্থন করেছেন, আজ আমি যে অবস্থানে সেখানে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
বিসিসিআই সভাপতি যোগ করেন, ‘এখন আমি নতুন কিছু শুরু করতে চাইছি, যেটি অনেক মানুষকে সাহায্য করবে। আশা করি জীবনের এই নতুন পথচলায়ও আপনাদের সবার সমর্থন পেতে থাকব।’
সৌরভের এমন পোস্টে অনেকেই মনে করেছেন, ব্যাট-বলের দুনিয়া ছেড়ে হয়তো রাজনীতির মাঠে নামবেন সৌরভ?
তবে অনেকের মতে, পদত্যাগ না করলেও সৌরভের টুইটে বিদায়ের সুর-ই বাজছে। অচিরেই ক্রিকেট ছেড়ে রাজনীতির মাঠে তাকে নামতে দেখাও যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, রাজনীতিতে যাওয়ার প্রস্তাব বরাবর পেয়েই আসছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। সব প্রস্তাবের জবাবেই তিনি বলেছেন, ‘আপাতত’ রাজনীতিতে যেতে ইচ্ছুক নন তিনি। যতটা সম্ভব ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চান। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য বা বিধায়ক হওয়ার চেয়ে বিসিসিআই সভাপতি হওয়াটা তার কাছে অনেক বেশি পছন্দের।