রংপুরের পীরগাছায় পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে দুই সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মাইনুদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি গ্রামে ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে শুক্রবার পীরগাছা থানায় নিহতের ভাই সরমান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের আজিজুল দোয়ারির মেয়ে আয়েশা বেগম (৩৫)। ঘাতক মাইনুদ্দিনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার ভেলাজান ইউনিয়নের বাঁশগাড়া গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, বিশ বছর আগে আয়েশা ও মাইনুদ্দিন ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করার সুবাদে তারা ভালবেসে বিয়ে করে। বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের সংসার জীবন। এর মধ্যে কয়েকবার আয়েশা তার স্বামী মাইনুদ্দিনকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। কয়েক বছর এভাবে চলে যাওয়ার পর পার্শ্ববতী মমিন বাজার গ্রামের ফজল হকের ছেলে ফারুকের সঙ্গে আয়েশা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই বছর চলে এ সম্পর্ক। এ নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। এরপর তারা আবার ঢাকায় চলে যায়।
কয়েক বছর থাকার পর তারা গত ২৯ মে গ্রামের বাড়িতে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে ফারুকের সঙ্গে আয়েশার মোবাইল ফোনে কথা হয়। বিষয়টি জানার পর রাত ৩টার দিকে শাবল ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে সজোরে আঘাত করে হত্যা করে মাইনুদ্দিন। পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পীরগাছা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মাইনুদ্দিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, মাইনুদ্দিন নামের লোকটি তার স্ত্রীকে হত্যা করে পীরগাছা থানায় আত্মসমর্পণ করে তার দোষ স্বীকার করেন। আমরা এর সঙ্গে আর কোনো বিষয় আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছি। আমাদের তদন্ত চলমান আছে।