হিজলার ধুলাখোলা ইউনিয়নে জোড়া হত্যা মামলার আসামিদের ত্রাসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা বিঘ্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৫ ই জুন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধুলখোলা ইউনিয়নে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় প্রার্থীরা যে যার মতো করে ছুটছেন ভোটারদের কাছে। কিন্তু সুষ্ঠু ভোট নিয়ে ইতিমধ্য শংকায় পড়েছেন আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন ঢালী। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোণঠাসা করতে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জোড়া হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি । স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন ঢালী অভিযোগ করে বলেন, আমি আনারস মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি, কিন্তু আমার নির্বাচনী প্রচারণায় জোড়া হত্যা মামলার আসামি কালাম ব্যাপারী বাহিনীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী ধুলখোলা ইউনিয়নে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার ব্যানার ফেস্টুন পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। আমার কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে আমি ইতিমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি । তিনি বলেন বিগত বছর উপনির্বাচনেও এই সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ফলে আমি জয়লাভ করতে পারিনি। ঠিক এবারও তারা একই ভাবে নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতা ও অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসতেছে। এসমস্ত সন্ত্রাসীরা নৌকার প্রার্থীর সাথে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছে যাহাতে আমি নির্বাচনে জিততে না পারি। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করবো এখন পর্যন্ত কোনো সুযোগ পাইনি। উল্লেখ্য যে বিগত বছর এই সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বড় ভাই আব্দুস সত্তার ঢালী ও আমার ভাগিনা সিদ্দিক কবিরাজকে হত্যা করে যাহার মামলা এখনো চলমান আছে। উক্ত মামলার আসামিরা ওয়ারেন্টভুক্ত হওয়ার পরেও কিভাবে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয় ।তিনি আরো বলেন ধুলখোলা ইউনিয়নে সর্ব মোট নয়টি কেন্দ্র। এর ভিতরে ৫ টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করি। অত্র ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৮২৪৭। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয় তাহলে জয়ের ব্যাপারে ১০০% আশাবাদী। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজা বলেন, চরের কয়েকটি ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে জাল ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে । সেই সাথে ওইসব কেন্দ্রগুলোতে জোড়া খুনের আসামীদের দিয়ে দখলে নিবে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। এছাড়া নৌকা প্রতীকের ছাড়া অন্য কোন ভোটার ভোট কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেনাসহ তার কর্মীদের বিভিন্ন মামলা-হামলার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে ব্যাপরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি
হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে হিজলা থানার ওসি জানান, এবার নির্বাচন পুরো ঈদের আনন্দের মত হবে,কেননা কোন বহিরাগতকে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা।যারা প্রবেশ করেছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোড়াখুনের আসামিদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। হিজলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান, এবার নির্বাচন ফেয়ার হবে।কোন রকমের কারচুপির সম্ভবনা নেই।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান শতভাগ সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। নির্বাচনী জায়গায় ক্যাম্প গঠন করা হবে, যার ফলে কারচুপির কোন সুযোগ থাকবে না। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমানে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে এবং নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকবে ব্যাপকভাবে।