ভেলার চরফ্যাশনের এরয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মনির হোসেন গ্রামপুলিশ হয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছেন, বাংলাদেশে গ্রাম পুলিশ হয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করার কোনো সুযোগ নেই। ওয়াজপুর ইউনিয়নের নিয়োগপ্রাপ্ত ইউনিয়ন সচিব মাজারুল ইসলাম থাকার পরেও কীভাবে সচিবের দায়িত্ব পালন করেন গ্রামপুলিশ এ নিয়ে রয়েছে জনমনে প্রশ্ন।
গ্রামপুলিশদের প্রতি সপ্তাহে রোববার স্থানীয় থানায় গিয়ে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও গত দুবছরে থানায় পা পড়েনি মনিরের। তবুও থেমে নেই তার বেতন ভাতা। গ্রামপুলিশ মনির কী করে পেলেন গত দুই বছরের বেতন-ভাতা।
জানা যায়, ২০১৮ সাল থেকে গ্রাম পুলিশ মনির সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার সুবাধে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ জেলে কার্ড, বিধবা কার্ড, বয়স্ক ভাতার কার্ড, এমনকি জন্ম নিবন্ধন কার্ড করার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির বলেন, ইউনিয়ন সচিব অন্যত্র ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্বে থাকায় এই ইউনিয়ন সচিবের কাজগুলো আমাকে করে দেওয়ার দায়িত্ব দেন। তবে সই স্বাক্ষর তিনিই করে।
এওয়াজপুর ইউনিয়ন সচিব মাজহারুল ইসলাম বলেন, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও কাজ করি। এজন্য আমার অবর্তমানে গ্রামপুলিশ মনিরকে রাখা হয়েছে। তবে সই স্বাক্ষর আমিই করি।
একজন গ্রামপুলিশ কীভাবে ইউনিয়নের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন- এমন প্রশ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান রাহুল বলেন, বাংলাদেশে গ্রামপুলিশ হয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করার কোনো সুযোগ নেই। অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তসহ ইউনিয়ন সচিব ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এজন্য দায়ী থাকবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।