কিন্তু করোনার কারণে ২০২০ সালের ১২ মার্চ থেকে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ১০ জুন থেকে ঢাকা-কলকাতা বাস পরিষেবা আবার চালু করেছে বিআরটিসি। তবে রাষ্ট্রীয় পরিবহন করপোরেশনের অনুমতি না মেলায় কলকাতা থেকে ঢাকা পথে বাস চালু বিলম্ব হচ্ছিল। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পরই আজ সোমবার থেকে কলকাতা-ঢাকা যাত্রীবাহী বাসের চলাচল আবার শুরু হলো।
সোমবার সকালে প্রথম আলোকে এ কথা নিশ্চিত করেন কলকাতা-ঢাকা বাস পরিষেবার ‘অপারেটর’ শ্যামলী যাত্রী পরিবহন সংস্থার কর্ণধার অবণী কুমার ঘোষ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, করোনার কারণে দুই বছর তিন মাস আগে দুই দেশের মধ্যে এই যাত্রীবাহী বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। আজ আবার তা চালু হলো।
অবণী কুমার ঘোষ আরও বলেন, নতুন করে চালু হলেও ভাড়া আগে যা ছিল, তা–ই থাকছে। কলকাতা থেকে ঢাকার বাসভাড়া থাকছে ১ হাজার ৪০০ রুপি। প্রতি সোম, বুধ ও শুক্রবার সকাল সাতটায় সল্টলেকের করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়বে। বিকেল চারটা থেকে সাড়ে চারটার মধ্যে বাস ঢাকায় পৌঁছাবে। ঢাকার কমলাপুরের বিআরটিসি বাসটার্মিনাল থেকে প্রতি মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার কলকাতার উদ্দেশে বাস ছাড়বে। এখন এ পথের বাস চলাচল করবে পদ্মা সেতু দিয়ে।
১০ জুন কলকাতা-ঢাকা-আগরতলার মধ্যেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এ বাস কলকাতা থেকে সোম, বুধ ও শুক্রবার করুণাময়ী বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়বে দুপুর পৌনে ১২টায়। আগরতলা থেকে ছাড়বে পরদিন বিকেল চারটায়। কলকাতা-আগরতলার ভাড়াও বাড়েনি। আগের মতো বাসভাড়া ১ হাজার ৮০০ রুপি রয়েছে। কলকাতা থেকে বাকি তিন দিন মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার এ পথে বাস চালাবে বিআরটিসি।
১০ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিআরটিসির বাস চলাচল শুরু হয়। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন কলকাতা-ঢাকার মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়। আর আগরতলা-কলকাতার মধ্যে বাস চলাচল শুরু হয়েছে ৬ জুন ২০১৫ থেকে।