আরও লক্ষণীয়…
• সপ্তাহে অন্তত এক দিন ফ্রিজের ভেতরটা পরিষ্কার করতে হবে। যেদিন আপনার ফ্রিজে অল্প পরিমাণে খাবার থাকে, সেদিন ফ্রিজটি পরিষ্কার করতে পারেন। সপ্তাহের শেষ দিন বা আপনার ছুটির বেছে নিতে পারেন ফ্রিজ পরিষ্কার করার জন্য।
• মাসে একবার সাবান-পানি দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে। এর জন্য শুরুতেই ফ্রিজের কানেকশন বন্ধ করে দিতে হবে। ফ্রিজের ভেতরের সব খাবার আর ট্রে বের করে নিন। এরপর লিকুইড সাবান ও স্পঞ্জ দিয়ে ফ্রিজের ভেতরটা ভালোভাবে মুছে নিন। তারপর কেবল পানিতে স্পঞ্জ ভিজিয়ে মুছে নিন।
• ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য হালকা গরম পানির সঙ্গে বেকিং সোডা বা ভিনেগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন।
• ফ্রিজ পরিষ্কার করার জন্য ক্লোরিন ব্লিচ ও খসখসে কাপড় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। এর কারণে শেলফের প্লাস্টিকের আবরণ উঠে যেতে পারে।
• ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করার জন্য ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রিজের চারপাশের রাবারের অংশ নিয়মিত সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, নাহলে ধুলাবালু জমে রাবার ফেটে যেতে পারে।
• মাসে একবার ফ্রিজের সিল পরীক্ষা করতে হবে। যদি কোথাও চিড় দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে মেরামত করে নিতে হবে।
• ছয় মাস পরপর ফ্রিজের বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে পেছনে বা নিচে থাকা কয়েল পরিষ্কার করতে হবে। নরম ঝাড়ু দিয়ে কয়েলের সঙ্গে লেগে থাকা ধুলা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
• ফ্রিজের ওপর ভারী জিনিস রাখলে ফ্রিজের ক্ষতি হয়।
• ফ্রিজ পরিষ্কার করার পর তাপমাত্রার সুইচ চালু করতে ভুলে যান অনেকেই। এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সব সেটিং ঠিক আছে কি না দেখে নিতে হবে। লোডশেডিংয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে ফ্রিজ ঠিকমতো চালু হয়েছে কি না।
• ফ্রিজ কখনো ঘরের দেয়ালের সঙ্গে একদম লাগিয়ে রাখবেন না, কিছুটা দূরত্ব রাখতে হবে।
• চুলার কাছে বা খুব গরম স্থানে ফ্রিজ রাখবেন না। যে স্থানে ফ্রিজ রাখা, সেটি খুব গরম হলে মাঝেমধ্যেই ফ্যান ছেড়ে রাখতে হবে।