গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রোববার (২৬ জুন) ভোর থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
পরে সেতুতে বেপরোয়াভাবে অধিক মোটরসাইকেল চলাচল শুরু করে, ঘটে দুর্ঘটনাও। মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি থাকায় দুই তরুণ ওইদিনই দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর সেতুর পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি সাময়িক। তবে কবে থেকে চলাচল শুরু হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে এখনো ৬টি ফেরি প্রস্তুত রয়েছে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন পরিবহনে চাহিদা অনুসারে এসব ফেরি চলাচল করবে। তবে ফেরিগুলো পরিচালনায় শিগগিরই একটি পরিকল্পনা নেয়া হবে।
এদিকে, পদ্মা সেতু হলেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে লঞ্চ চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না; বরং লঞ্চ মালিকরা আরও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে লঞ্চ পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণে আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা চ্যালেঞ্জ জয় করেছি। প্রধানমন্ত্রী ২৫ জুন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন করেছেন। পদ্মা সেতু করতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির নামে বাঙালি জাতির কপালে কলংকের তিলক দিতে চেয়েছিল। কানাডার আদালতে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল।”
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন, যা এখন বাস্তব।