ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মধ্যেই স্পেনের মাদ্রিদে শুরু হয়েছে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন। যুদ্ধের এই সংকটকালে কিয়েভকে অস্ত্র নিয়ে সহায়তা করে আসছে ন্যাটো। ইউক্রেনকে কতদিন অস্ত্র সরবরাহ করতে থাকবে সে ব্যাপারে মুখ খুলেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোট।
ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বুধবার মাদ্রিদে বলেন, যতদিন ইউক্রেনের দরকার হবে, ততদিনই ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করতে অব্যাহত রাখবে ন্যাটো।
ন্যাটো সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের শলৎ বলেন, এটা ভালো বিষয় যে কয়েকটি দেশ এখানে জড়ো হয়েছে। তবে আরও অনেক দেশ আছে যারা ইউক্রেনকে নিজেদের আত্মরক্ষার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে–সেটা হতে আর্থিক উপায়, মানবিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে এবং ইউক্রেনের জরুরি প্রয়োজনে অস্ত্র সরবরাহ করার মাধ্যমেও।
এদিকে, ন্যাটোর সদস্য হতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আবেদনে সমর্থন দিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক।
এ ব্যাপারে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো বলেন, মাদ্রিদে ন্যাটোর এক সম্মেলনে বৈঠকের পর তিন দেশ একের অপরের নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে। এ বিষয়ে যৌথ স্বাক্ষরের পর অগ্রগতি এসেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এতদিন এই আবেদনের বিরোধিতা করে আসছিল ন্যাটোর অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র তুরস্ক। তাদের দাবি, হেলসিঙ্কি ও স্টকহোম কুর্দি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এমন অভিযোগ মাথায় নিয়ে তুরস্ককে বোঝাতে মাঠে নামে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এরই মধ্যে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে যোগ দিতে মাদ্রিদে জড়ো হয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানসহ ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সরকারপ্রধানও। ন্যাটো সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে মঙ্গলবার চার ঘণ্টা আলোচনায় হয়।
ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার সমর্থন প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ইস্যুতে কোনো খোলামেলা বা স্পষ্ট মনোভাব নেই ওই দুই প্রতিবেশী দেশের, তাদের কীভাবে বিশ্বাস করব আমি?
জবাবে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে বলেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সন্ত্রাসবাদ দমন সংক্রান্ত নথি ও নীতির প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
এদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মাদ্রিদের আলোচনা থেকে এরদোগান যেমন চেয়েছিলেন তাই পেয়েছেন।