পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নিজেকে ‘শাহিদ’ (সাক্ষ্যদানকারী) আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
আল্লাহর মহান সত্তার মতো তাঁর সাক্ষ্যদানও সব কিছুর ঊর্ধ্বে, যেকোনো বিষয়ে তাঁর সাক্ষ্যদানই যথেষ্ট ও চূড়ান্ত। ইরশাদ হয়েছে, ‘বলো, সাক্ষ্যতে সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয় কী? বলো আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। ’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৯)
এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আবেদন করে বলেছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। উপস্থিত লোকেরা যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৪১)
তবে পবিত্র কোরআনে ‘শাহিদ’ শব্দটি প্রত্যক্ষকারী অর্থেও ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ের প্রত্যক্ষকারী। ’ (সুরা : হজ, আয়াত : ১৭)
তবে আল্লাহর নাম ‘শাহিদ’-এর অর্থ প্রত্যক্ষকারী ও সাক্ষ্যদানকারী উভয়টি গ্রহণ করা বৈধ। কেননা কোনো কিছুই আল্লাহর দৃষ্টির আড়ালে নয়, বরং সব কিছু তাঁর দৃষ্টিশক্তি ও জ্ঞানের অধীন। আর আল্লাহ যেহেতু সব কিছু দেখেন, প্রত্যক্ষ করেন, তাই তিনি সর্ববিষয়ে সাক্ষী। আল্লামা জাজ্জাজি (রহ.) বলেন, ‘যখন আল্লাহর কাছে কোনো কিছুই অজ্ঞাত নয়, তখন আল্লাহ সর্ববিষয়ে প্রত্যক্ষকারী ও সাক্ষ্যদানকারী। ’ (ইশতিকাকু আসমায়িল্লাহ, পৃষ্ঠা ১৩২)
তবে আল্লাহর সাক্ষ্যদান অবশ্যই কল্যাণের পক্ষে। আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে ইয়াহইয়া বলেন, ‘আল্লাহ অত্যাচারিত ব্যক্তির পক্ষে সাক্ষী, পৃথিবীতে যার পক্ষে এবং অত্যাচারী ব্যক্তির বিপক্ষে কোনো সাক্ষ্যদানকারী নেই; যে অত্যাচারীর অত্যাচার প্রতিহত করার কেউ নেই। ’ (শানুদ দোয়া, পৃষ্ঠা ৭৫)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া