৪২ পৃষ্ঠার সে রায়ে মামলাটি খারিজ করার পাশাপাশি এই অভিযোগে আর যেন মামলা না হয়—সে নির্দেশও দেন ডোরসি। স্টোভালের আচরণে রোনালদো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও রায়ে বলেন তিনি। এরপর গত শুক্রবার সেই মামলা লড়তে রোনালদোর যত খরচ হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে আরজি জানান ক্রিস্টিয়ানসেন। ক্ষতিপূরণের এই দাবিতে বলা হয়, ‘রোনালদোর ক্ষতিপূরণের জন্য স্টোভালকে জনসন্মুখে দায়ী করা উচিত।’ প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ থেকে ৮৫০ ডলার পর্যন্ত আইনজীবী ফি ধরে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানসেন। লাস ভেগাসে মায়োরগা এবং তাঁর আইনজীবীর করা সে মামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ঘণ্টা কাজের হিসাব ধরে ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা বসিয়েছেন পর্তুগিজ তারকার এই আইনজীবী।
২০১৮ সালে প্রথম রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের মায়োরগা। ২০১৭ সালে জার্মান সাময়িকী ডার স্পিগেলের প্রতিবেদনের পর রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আলোচনায় আসে। সে সময় ফুটবল দুনিয়ার গোপন নথিপত্র ফাঁস করে আলোচনায় আসা ফুটবল লিকসের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে ডার স্পিগেল রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের কথা জানায়। মায়োরগার আইনজীবী ফুটবল লিকসের ফাঁস করা নথিপত্র ব্যবহার করেছেন মামলায়। যেহেতু ফুটবল লিকসের সব তথ্য চুরি করা ও গোপন তথ্য, সে ক্ষেত্রে আইনের চোখে এগুলো পর্যাপ্ত ও গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নয়।
ডার স্পিগেল জানিয়েছিল, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসের এক হোটেলে ক্যাথরিন মায়োরগা নামের এক মডেলকে ধর্ষণ করেছিলেন রোনালদো। সে সময় মাত্রই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছিল। ডার স্পিগেল আরও জানায়, সে সময় ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে মায়োরগাকে চুপিসারে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দিয়েছিলেন রোনালদো। উদ্দেশ্য, যাতে মায়োরগা লাস ভেগাসের পুলিশের কাছে এ নিয়ে মামলা না করেন। ঘটনার সময় রোনালদোর বয়স ২৪ ও মায়োরগার বয়স ২৫ ছিল বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি। রোনালদোর আইনজীবীরা তখন ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, দুই পক্ষের সম্মতিতেই সবকিছু হয়েছে।