ট্রাম্পের নীতির আওতায় মেক্সিকোর নাগরিক নন এমন যেসব ব্যক্তি দেশটির দক্ষিণের সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, কিন্তু বৈধ হতে পারেননি, তাঁদের খুঁজে বের করে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠানো হয়। অভিবাসনসংক্রান্ত আইনি লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর রায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিপক্ষে গেলে তাঁদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে অনেক অভিবাসী পরিবার প্রিয়জনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আইনজীবীদের মতে, এর ফলে বড় ধরনের বিপদে পড়েন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ট্রাম্পের এমন কঠোর নীতি দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচিত হয়। বাইডেন আগেই বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি এমন নীতি বদলে ফেলবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অভিবাসন নীতি বদলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে বাইডেন কিছুটা নমনীয় ও মানবিক নীতি গ্রহণের পক্ষে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস জানান, বৃহস্পতিবার ৫-৪ ভোটে সুপ্রিম কোর্ট বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন আইন পরিবর্তনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আইন ও নীতিমালা মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠাতে পারবেন। তবে তাঁদের বাধ্য করতে পারবেন না।
২০১৯ সালে ট্রাম্প মেক্সিকোবিরোধী অভিবাসন নীতি মাইগ্রেশন প্রোটেকশন প্রটোকল (এমপিপি) গ্রহণ করেছিলেন। বাইডেন ক্ষমতায় এসে এটা বদলে ফেলতে চাইলে টেক্সাসসহ রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি অঙ্গরাজ্য তাতে বাধা দেয়। বিষয়টি আদালতেও গড়ায়। ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আদালত বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে রায় দেন। পরে তা সুপ্রিম কোর্টে যায়।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিল জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এই নীতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমনকি বাইডেনের আমলে এখন পর্যন্ত প্রতি মাসে দুই লাখের বেশি মানুষ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। এমপিপি ও করোনা-সংক্রান্ত নীতিমালার আওতায় তাঁদের সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে।