রোববার (৩ জুলাই) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠিতে এ আবেদন জানায় গ্রামীণফোন।
এ চিঠিতে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেছে দেশের শীর্ষ অপারেটরটি। তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাফ জবাব, কথা নয়। বাস্তবে নেটওয়ার্কের উন্নয়ন সত্যতা ছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে না।
এর আগে ২৯ জুন মানসম্মত সেবা দিতে না পারায় দেশের শীর্ষ অপারেটরটির সিম বিক্রিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, তাদের সেবা উন্নত করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তবে বিটিআরসির এ অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনসের খায়রুল বাশার বলেন, বিটিআরসি এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের বেঞ্চমার্কে আমাদের অবস্থা ভালো রয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন করছি। সুতরাং, এমন একটি বিষয়ে যখন কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া একটি চিঠি আসে, এটি আসলে আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।
সে সময়ে সার্বিক বিষয় নিয়ে দ্রুতই বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাওয়ার কথাও জানায় গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ১ জুলাই টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন একটি ক্ষুদে বার্তায় গ্রাহকের মোবাইল রিচার্জের লিমিট নির্ধারণ করে দেয়ার কথা জানায়। তারা গ্রাহকদের সর্বনিম্ন রিচার্জ লিমিট ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করে দেয়। তবে গ্রাহকরা এখনো ১৬ টাকা ও ১৪ টাকার মিনিট প্যাকগুলো কিনতে পারবেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার সময় সংবাদকে জানান, বর্তমানে ২০ টাকা রিচার্জ করলে ৩০ দিনের মেয়াদ পাওয়া যাবে। এর আগে ১০ টাকা রিচার্জেও ৩০ দিন মেয়াদ পাওয়া যেত। ২০ টাকার কম রিচার্জ না করা গেলেও গ্রামীণফোনের ৯ টাকা, ১০ টাকা ও ১৯ টাকার স্ক্র্যাচ কার্ডগুলো আগের মতোই ব্যবহার করা যাবে। তবে জিপি থেকে জিপি নম্বরে সর্বনিম্ন ১০ টাকা ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যাবে।