ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব তুমি তোমার মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো।’ [সুরা : ওয়াকিয়া, আয়াত : ৯৬]
আল্লাহ মহান। মাহাত্ম্যের প্রকৃত অধিকারী মহান আল্লাহ। পবিত্র কোরআনের একাধিক স্থানে আল্লাহর গুণবাচক নাম হিসেবে ‘আজিম’ (মহান) শব্দটি ব্যবহূত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি শ্রেষ্ঠ ও মহান।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৫)। অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব তুমি তোমার মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। ’ (সুরা : ওয়াকিয়া, আয়াত : ৯৬)
ইমাম তাবারি (রহ.) বলেন, ‘আজিম হলেন যিনি মাহাত্ম্যের অধিকারী। যিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে। যার চেয়ে মহান আর কিছুই নেই। ’ (তাফসিরে তাবারি : ৪/৫৪৪)
স্বয়ং আল্লাহ তাঁর মাহাত্ম্যের শপথ করেছেন। হাদিসে এসেছে, (কিয়ামতের দিন বলা হবে) হে মুহাম্মদ! মাথা ওঠাও। বলো, তোমার কথা শোনা হবে। চাও, দেওয়া হবে। শাফায়াত করো, গ্রহণ করা হবে। আমি (নবীজি) বলব, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তাদের সম্পর্কে শাফায়াত করার অনুমতি দান করুন, যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে। তখন আল্লাহ বলবেন, আমার সম্মান, আমার পরাক্রম, আমার বড়ত্ব ও আমার মাহাত্ম্যের শপথ! যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে, আমি অবশ্য অবশ্যই তাদের সবাইকে জাহান্নাম থেকে বের করব। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৫১০)
বান্দার জন্য আবশ্যক হলো আল্লাহর মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্বের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা এবং ইবাদত-আনুগত্যের মাধ্যমে তার ঘোষণা দেওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, …রুকুতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা বর্ণনা করো। আর সিজদায় তোমরা দোয়া করতে চেষ্টা করো। তোমাদের জন্য দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্ত সময় এটাই।
(সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১০৪৫)
আল্লামা আজহারি (রহ.) হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘তোমরা অন্তরে আল্লাহর মাহাত্ম্যকে ধারণ করো। আর আল্লাহর মাহাত্ম্যের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই, কোনো কিছুর সঙ্গে তার তুলনাও করা যাবে না। প্রত্যেক মুমিনের জন্য আবশ্যক আল্লাহর মাহাত্ম্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, যেমনিভাবে আল্লাহ নিজেকে মাহাত্ম্যের গুণে গুণান্বিত করেছেন। ’ (তাহজিবুল লুগাহ : ২/১৮২)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া