সরেজমিন দেখা যায়, সাদা–কালো রঙের রাজা বাবুকে দেখতে লোকজন ভিড় করছেন। কেউ কেউ মুঠোফোনে গরুর ছবি তুলেছেন। মিনিট পাঁচেক পরপর কেউ না কেউ এসে গরুর দাম জানতে চাইছেন।
সানোয়ার হোসেন বলেছেন, শখ করে লাল মিয়া গরুটি লালন–পালন করছেন। লাভের আশায় নয়। প্রতিদিন রাজা বাবুর পেছনে তাঁদের খরচ আনুমানিক ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। গত বছরও তাঁরা রাজধানীর আফতাবনগর হাটে ২৩ মণ ওজনের একটি গরু এনেছিলেন। গতবার শেষ মুহূর্তে দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি করতে পারেননি।
এদিকে এই হাট ঘুরে আরও দেখা যায়, ইতিমধ্যে ছোট–বড় অনেক গরু হাটে তোলা হয়েছে। সকালে বৃষ্টি হওয়ায় পশু নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন ব্যাপারীরা।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা থেকে মাঝারি আকৃতির ১৬টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন চারজন। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট সাড়ে তিন মণ ওজনের গরুর দাম চাইছেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
দাম তুলনামূলক বেশির বিষয়ে বিক্রেতা নূর আলম ও হামিদুর রহমান বলেন, ছোট গরুর দাম বেশি। মাঝারি আকারের গরুর দাম কিছুটা কম। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি হয়নি জানিয়ে তাঁরা বলেন, গরুর রাখার জায়গা না থাকায় অনেকেই ঈদের আগের দিন গরু কেনেন। তাই এখন পর্যন্ত ক্রেতারা বাজারে আসেননি।
উত্তর শাহজাহানপুরের এ হাট মূলত শাহাজানপুর রেলওয়ে কলোনির ভেতরে বসে। কলোনির ভেতরে গরুর হাট বসানোর কারণে এখানকার বাসিন্দাদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
আর ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কামরুজ্জামান বাবু প্রথম আলোকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আজ পশু বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ২ জুলাই থেকেই তাঁরা হাট বসানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই হাঁটে ৪০টি গরু বিক্রি হয়েছে।
হাটে গরুর দামদর দেখতে এসেছেন খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা খালিদ সাইফুল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গরুর দাম বেশি। দাম আরেকটু কমতে পারে বলে ধারণা এই বাসিন্দার। তখন কোরবানির পশু কেনবেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা এবার ১০টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসছে। সংস্থার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মানুষ যাতে দুর্ভোগে না পড়েন, এ জন্য তাঁরা তৎপর রয়েছেন। সড়ক বা মহাসড়কে পশু রেখে যান চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।