ভালো ঘুমের জন্য যেমন বিছানা–বালিশ প্রয়োজন

কাত হয়ে, চিত হয়ে এবং কেউ উবু হয়ে—এ তিনভাবে ঘুমাই আমরা। কাত হয়ে ঘুমালে বালিশ একটু উঁচু হতে হবে, যেন মেরুদণ্ড বিছানার সমান্তরাল থাকে। এ ছাড়া কাত হয়ে ঘুমালে দুই হাঁটুর মাঝখানে বালিশ দিয়ে শোয়া ভালো। এতে মেরুদণ্ড সাপোর্ট পাবে।

অনেকে মাথার নিচে দুটো বালিশ দেয়। এটি ঠিক নয়। এতে মাথা উঁচু হয়ে থাকে এবং কাঁধে ব্যথা হতে পারে। একটি বালিশ ব্যবহার করাই ভালো। এ ছাড়া চিত হয়ে ঘুমালে হাঁটুর নিচে একটি বা দুটো বালিশ রাখা যেতে পারে। আর উবু হয়ে ঘুমালে একটু পাতলা বা নরম বালিশ ব্যবহার করতে হবে; এই বালিশের উচ্চতা কম হলে ভালো হয়।

এক থেকে দেড় বছরের বেশি কোনো বালিশ ব্যবহার করা ভালো নয়। দুই বছর পর বালিশ পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

বিছানা

শক্ত ও সমান বিছানায় ঘুমানো উচিত। ফোম বা স্পঞ্জের বিছানা চাপ লাগলে সহজেই দেবে যায়। এমন বিছানা স্বাস্থ্যকর নয়। বরং শক্ত জাজিমের ওপর পাতলা তোশক বিছিয়ে ঘুমাতে পারেন। পুরোনো জাজিমও চাপ লাগলে দেবে যেতে পারে। তাই জাজিম পুরোনো ও নরম হয়ে গেলে বদলে ফেলা উচিত। সেটা না পারলে জাজিমের ওপর হার্ডবোর্ড দিয়ে এর ওপর একটা পাতলা তোশক বিছিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

পিঠ বাঁকা করে ঘুমানো ঠিক নয়। এতে পরবর্তী সময়ে পিঠে ব্যথা হতে পারে। কোলবালিশ নিয়ে খুব বাঁকা হয়ে ঘুমালেও পিঠ ব্যথা হতে পারে। মেরুদণ্ড খুব বেশি না বাঁকিয়ে যেকোনো পাশে কাত হয়ে ঘুমানো ভালো। যাঁদের ঘাড়ে ব্যথা, তাঁরা ঘাড়ের নিচে ছোটদের কোলবালিশ ব্যবহার করতে পারেন। ঘাড়ে ব্যথা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে এই বালিশ ব্যবহার করতে পারেন।

বিছানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সপ্তাহে একবার বিছানার চাদর ও বালিশের কভার গরম পানিতে ধুয়ে নিন। তোশক-জাজিম বা ম্যাট্রেস মাসে একবার কড়া রোদে সারা দিন রাখুন।

*লেখক: অধ্যাপক মো. আবু সালেহ আলমগীর, বাংলাদেশ পেইন, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (বিপিআরসি), মালিবাগ মোড়, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *