হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ প্রিন্সের নিকটবর্তী সোলেইল এলাকায় পাঁচ দিনের সহিংসতায় ২৩৪ জন হতাহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ জুলাই) জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত গোষ্ঠীগত সহিংসতায় অন্তত ২৩৪ ব্যক্তি নিহত কিংবা আহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, হতাহতদের বেশিরভাগেরই সরাসরি কোনো গোষ্ঠীগত সম্পৃক্ততা ছিল না। অথচ তারা সরাসরি গ্যাং সদস্যদের টার্গেটে পরিণত হয়। আমরা যৌন সহিংসতার নতুন রিপোর্টও পেয়েছি।
জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি চাং চুন বলেছেন, হাইতি নিরাপত্তা পরিষদের জন্য বরাবরই সবচেয়ে কঠিন ও জটিল চ্যালেঞ্জ। জাতিসংঘ হাইতিতে সমন্বিত কার্যালয়ের আদেশদান স্থগিত করার পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে হাইতির অপরাধী চক্রগুলো ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপের হুমকি দিয়েছে। সংস্থাটি একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে এই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ক্যারিবীয় দেশটিতে অস্ত্র পাঠানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
২০০৪ সালে আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জঁ-বারট্রান্ড আরিস্তিদেকে উৎখাত করার পর হাইতিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। ২০১৭ সালে শান্তিরক্ষাবাহিনী চলে যায়। তখন তাদের জায়গায় জাতিসংঘ পুলিশ দায়িত্ব নেয়। পরে তারাও ২০১৯ সালে চলে যায়।