‘মুসাওয়ির’ বা আকৃতি দানকারী আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই আল্লাহ সৃষ্টিকারী, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তাঁরই সব উত্তম নাম। ’ (সুরা হাশর, আয়াত : ২৪)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই মাতৃগর্ভে যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের আকৃতি গঠন করেন। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা জান্নাতে যখন আদম (আ.)-এর আকৃতি সৃষ্টি করেন, তখন আল্লাহ তাকে নিজের ইচ্ছামতো ফেলে রাখলেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৫৪৩)
আল্লামা জাজ্জাজি বলেন, আল্লাহ মুসাওয়ির। কেননা তিনি ছোট ও বড়, দীর্ঘ ও ছোট সব ধরনের সৃষ্টিকে আকৃতি দান করেছেন। (ইশতিকাকু আসমায়িল্লাহ, পৃষ্ঠা ২৪৩)। একটি সৃষ্টি থেকে অপর সৃষ্টির অবয়ব ভিন্ন হওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লামা খাত্তাবি বলেন, ‘আল্লাহ বিভিন্ন আকৃতিতে সৃষ্টিজগেক রূপদান করেছেন যেন তারা পরস্পরকে চিনতে পারে (বিশেষ অবয়বে)। ’ (শানুদ দোয়া, পৃষ্ঠা ৫১)
মানুষের দৃষ্টিতে কোনো মানুষ, প্রাণী বা বস্তুর আকৃতিতে যতই কুিসত হোক না কেন, আল্লাহর দৃষ্টিতে কেউ কুিসত নয়; বরং সবই সুন্দর। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি তোমাদের গঠন দান করেছেন এবং দিয়েছেন উত্তম আকৃতি। ’ (সুরা মুমিন, আয়াত : ৬৪)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহান প্রতিপালক সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন এবং সুসামঞ্জস্য করেছেন। যেই আকৃতিতে চেয়েছেন তিনি তোমাকে গঠন করেছেন। ’ (সুরা ইনফিতার, আয়াত : ৬-৮)
আল্লামা ইবনে মানজুর বলেন, আল্লাহ সব অস্তিত্বশীল বিষয়কে আকৃতি দান করেছেন এবং তা বিন্যস্ত করেছেন। প্রতিটি সৃষ্টিকে বিশেষ আকৃতি ও অবয়ব দান করেছেন, যার মাধ্যমে তাকে পৃথক করা যায় বিশাল বৈচিত্র্যময় সৃষ্টিজগতে। (লিসানুল আরব : ৪/২৫২৩)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া