দুনিয়া অস্থায়ী আবাসস্থল। শয়তান দুনিয়াকে বিভিন্নভাবে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে দুনিয়ার বিভিন্ন চাকচিক্যের দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করে। আদ ও সামুদ জাতিকে শয়তান চাকচিক্যের মধ্যে ফেলে ধ্বংস করেছে। আল্লাহ বলেন, ‘আমি আদ ও সামুদকে ধ্বংস করেছি।
তাদের বাড়ি-ঘর থেকেই তাদের অবস্থা তোমাদের জানা হয়ে গেছে। শয়তান তাদের কর্মকে তাদের দৃষ্টিতে সুশোভিত করেছিল, অতঃপর তাদের সত্পথ অবলম্বনে বাধা দিয়েছিল এবং তারা ছিল হুঁশিয়ার। ’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৩৮)
সাবা জনপদের অধিবাসীদের শয়তান চাকচিক্যে ফেলে শিরক করিয়েছিল। যেমন—হুদহুদ পাখি বলেছিল, ‘আমি তাকে (রানি বিলকিস) ও তার সম্প্রদায়কে দেখলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সিজদা করছে। শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যাবলি সুশোভিত করে দিয়েছে। অতঃপর তাদের সত্পথ থেকে নিবৃত্ত করেছে। অতএব তারা সত্পথ পায় না। ’ (সুরা : নামল, আয়াত : ২৪)
যুগে যুগে মানুষকে শয়তান দুনিয়ার সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের প্রতি আকৃষ্ট করে এবং বিভিন্ন পাপে লিপ্ত করে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি তোমার [রাসুল (সা.)] আগে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে রাসুল প্রেরণ করেছি, অতঃপর শয়তান তাদের কর্ম শোভনীয় করে দেখিয়েছে। আজ সে-ই তাদের অভিভাবক এবং তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৩)
আর শয়তান আল্লাহর কাছেই মানুষকে দুনিয়ার চাকচিক্যে ফেলে গোমরাহ করার ওয়াদা করে এসেছিল। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, হে আমার পালনকর্তা! আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। তবে আপনার একনিষ্ঠ বান্দাদের ছাড়া। ’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৩৯-৪০)
মহান আল্লাহ আমাদের শয়তানের প্রবঞ্চনা থেকে হেফাজত করুন।