# এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম):
মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বেঁচে যাওয়ামাইক্রোবাস যাত্রী আয়াতুল ইসলাম আয়াত (১৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আয়াত হাটহাজারীর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া গ্রামের আব্দুর শুক্কুরের পুত্র। শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চমেক হাসপাতালের আইসিইউর চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১২ জনে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাসের আরো ৬ যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ইমন নামের একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ডা. প্রণয় কুমার দত্ত বলেন, ‘সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে চমেক হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি বিভাগ থেকে আহত আয়াতুল ইসলাম আয়াতকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে চিকিৎসকরা। তার মাথায়
আঘাত ছিল। মাল্টিপল ট্রমাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরণা রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। এই ঘটনায় আহত হন আরো ৭ জন। ওই মাইক্রোবাসযোগে ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী খৈয়াছড়া
ঝরনা দেখে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি রেলক্রসিংয়ে উঠে পড়লে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। হতাহতরা সবাই ‘আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষক।