1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
প্যান্টের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের দাপট - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
আজ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ইফতার-সেহরিতে কী খাবেন রোজায় কম দামে মাছ মাংস দুধ ডিম মিলবে যেখানে শনিবার দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের এফডিসিতে কাজের পরিবেশ ফিরে আসুক: শাকিব খান ২০২৪ সালে টিকটকে আয়ের নতুন সুযোগ এবার ঈদে চমক দেখাবেন বুবলী ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে যে নতুন কৌশল নিচ্ছে বিএনপি শাকিব যেভাবে খেলছে খেলতে থাকুক: ওমর সানী বিপাকে পড়েছেন নিপুণ প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক বিভ্রাটের শিকার ৫ লাখের বেশি ব্যবহারকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন মেহের আফরোজ চুমকি চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন ২০২৪ অনুষ্ঠিত ভ্রমণে নামাজ যেভাবে পড়বেন

প্যান্টের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের দাপট

  • Update Time : রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২
  • ১৩০ Time View

২০২২ সালে বিশ্বে ট্রাউজার বা প্যান্টের বাজার ১১০.২ বিলিয়ন ডলারের। আর এই চাহিদার ১৩.১৬ শতাংশ মিটিয়েছে বাংলাদেশ। ডলারের হিসাবে প্যান্টের বাজারের সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের হিস্যা বাংলাদেশের। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা (ডলার ৯৫ টাকা দরে)।

 

এ হিসাব বাজার ও ভোক্তাদের ডাটা পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যাটিস্টা’র।

 

বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করার পথে আমেরিকার মতো ইউরোপেও প্যান্ট রপ্তানিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে যেমন বাল্ক আইটেমের সস্তা দরের প্যান্ট আছে, তেমনি নিজস্ব ডিজাইনের ফ্যাশনেবল প্রিমিয়াম কোয়ালিটির জিন্সও গিয়েছে বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডশপগুলোতে।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএ থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেছে। বরাবরের মতো এই রপ্তানির ৪২.৬১ বিলিয়ন ডলারই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। আর এই তৈরি পোশাক রপ্তানির মধ্যে ১৪.৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে প্যান্ট রপ্তানি থেকে, যা তৈরি পোশাক রপ্তানির ৩৪ শতাংশ এবং দেশের মোট জাতীয় রপ্তানির প্রায় ২৮ শতাংশ। আগের অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্যান্ট রপ্তানি হয়েছিল ১০.৬৮ বিলিয়ন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে এই খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৩.৮২ বিলিয়ন ডলার বা ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রবৃদ্ধির হার ৩৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের মোট ১২৯টি দেশে প্যান্ট রপ্তানি হয়েছে। ৮.৮৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে প্যান্টের পর দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি পণ্য হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে টি-শার্ট।

বাংলাদেশ থেকে প্যান্ট রপ্তানির সবচেয়ে বড় চালান গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত অর্থবছরে উত্তর আমেরিকার দেশটিতে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের প্যান্ট নিয়ে গেছে বিশ্বের নামিদামি বায়াররা। এর পরেই আছে ইউরোপের দেশ জার্মানি। দেশি পোশাক রপ্তানির দ্বিতীয় প্রধান গন্তব্যে ২.৪৩ বিলিয়ন ডলারের প্যান্ট রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া ইংল্যান্ডে রপ্তানি হয়েছে ১.৩২ বিলিয়ন ডলারের প্যান্ট।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানীকৃত প্যান্টের প্রধান বাজার ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ছেলেদের প্যান্টের বাজার বাংলাদেশের দখলে। এর আগে এই বাজারটির দখল ছিল মেক্সিকোর কাছে। ফলে আর্থিক মূল্যেও যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ প্যান্ট রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে। চীন, ভিয়েতনাম ও মেক্সিকোকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ।

মূলত চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর পর দেশটির বাজারে বাংলাদেশের প্যান্টের প্রসার বাড়ে। ওটেক্সা এবং অ্যাপারেল রিসোর্সের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি-মে ২০২২ সালের এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ৬.৩৮ বিলিয়ন ডলারের কটন ট্রাউজার আমদানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯.১৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে দেড় বিলিয়ন ডলার কটন ট্রাউজার রপ্তানি করে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক। এই সময় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮.৭৬ শতাংশ। ভিয়েতনাম ও চীন যথাক্রমে ১.০৫ বিলিয়ন ও ৭৫২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি করে পরের দুটি অবস্থানে আছে।

ডেনিমের জন্য বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর কাছে বাংলাদেশ বরাবরই পছন্দের গন্তব্য উল্লেখ করে পাইওনিয়ার গ্রুপের গ্রুপ জিএম কামরুল ইসলাম  বলেন, ‘কোয়ালিটি, ওয়াশের বৈচিত্র্যের কারণে দিন দিন বাংলাদেশি ডেনিমের অর্ডার বাড়ছে। কোন মানের ওয়াশ হচ্ছে তার ওপর জিন্সটির ভ্যালু অ্যাডেড হয়। ’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘টেক্সটাইল থেকে আমাদের ছেলেরা বের হয়ে এখন বিভিন্ন বড় গ্রুপের ফ্যাশন ডেভেলপমেন্ট টিমে কাজ করে। সেখানে তুরস্ক, ফিলিপাইনের এক্সপার্টদের সঙ্গে কাজ করে নিজেদের স্কিল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীতে বাংলাদেশি ডিজাইনের প্রায় ৬০ শতাংশ বায়াররা গ্রহণও করছেন।

প্যান্ট রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ থেকে অর্ডার দিয়ে প্যান্ট নিচ্ছে গ্যাপ, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, রাল্ফ লরেন, হুগো বস, জারা, এইচঅ্যান্ডএম, সিঅ্যান্ডএ, চার্লস ভোগলে, র‌্যাংলার, আমেরিকান ইগল, মিলার, ডকার্স, ওয়ালমার্ট, ইউনিকলো, টম টেইলর ও ওল্ডনেভির মতো বিশ্বমানের ব্র্যান্ডগুলো।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহসভাপতি ও দেশের বৃহত্তম ডেনিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কম দামি থেকে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির জিন্স রপ্তানি করছে। রাল্ফ লরেন, হুগো বসের মতো ব্র্যান্ডও বাংলাদেশ থেকে জিন্স নিয়ে যায়। স্টোরগুলোতে এই মানের জিন্স সাধারণত ১২০ থেকে ১৫০ ডলারে বিক্রি হয়। ’ এসব জিন্সে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com