বেশি কথা বলার পরিণতি

যার কথা বেশি তার বিপদ বেশি। বিনা প্রয়োজনে কথা বলা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা পরিহার করা মুমিনের কর্তব্য। কেননা এটা আল্লাহর অসন্তোষের কারণ।

 

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তোমাদের ওপর মাতাদের অবাধ্যতা, কন্যাদের জীবন্ত প্রোথিতকরণ, কৃপণতা ও ভিক্ষাবৃত্তি হারাম করেছেন। আর তোমাদের জন্য বৃথা তর্ক-বিতর্ক, অধিক জিজ্ঞাসাবাদ ও সম্পদ বিনষ্টকরণ মাকরুহ করেছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ১৪৭৭)

 

প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বললে বেশি ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ভুল মানুষের জন্য মন্দ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই বান্দা কখনো আল্লাহর সন্তুষ্টির কোনো কথা বলে অথচ সে কথা সম্পর্কে তার জ্ঞান নেই। কিন্তু এ কথার দ্বারা আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আবার বান্দা কখনো আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা বলে ফেলে যার পরিণতি সম্পর্কে তার ধারণা নেই, অথচ সে কথার কারণে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৮)

অন্য বর্ণনায় এসেছে,  রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘বান্দা এমন কথা বলে, যার ফলে সে জাহান্নামের এত দূরে নিক্ষিপ্ত হয়, যা পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তের মধ্যস্থিত ব্যবধানের চেয়ে বেশি। ’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৮৮)

 

সূত্রঃ কালের কন্ঠ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *