সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁচাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরিবহণ তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে কাঁদাপানি মাড়িয়েই স্কুলে যাতায়াত করতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
এ ছাড়া হাটবাজার যাতায়াত, কৃষকদের ফসল ঘরে তোলা কিংবা উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে গিয়ে পড়তে হয় বিপাকে।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের রাবার ড্রাম দুর্গাপুর উত্তরপাড়া কবরস্থান হয়ে সিয়ানপাড়া পর্যন্ত কাঁচারাস্তার চিত্র এটি। এর মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন আলীর বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সিনহা জানায়, বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা জমে থাকায় তার স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। এমন কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে ইচ্ছে করে না। মা-বাবার মারপিটের ভয়ে যেতে হয়।
দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফেনসি খাতুন ও চলনবিল টেকনিক্যাল অ্যান্ড কমার্স কলেজের শিক্ষক নুর হোসেন জানালেন, কাঁদাপানি আর রাস্তার দুর্ভোগ মাড়িয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে আসতে চায় না। এ সময় শিক্ষার্থী উপস্থিতি খুবই কম। পা পিছলে কাদায় পড়ে স্কুলব্যাগ, বই, পোশাক নষ্ট হলে স্কুলে না এসে বাসায় ফিরতে হয় শিক্ষার্থীদের।
দুর্গাপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা হোসাইন আলী জানান, বর্ষাকালে রাস্তা দিয়ে ভ্যান, ভটভটি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ কোনো যানবাহনই চলাচল করতে পারে না। ফলে এ এলাকায় উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলা, কৃষিপণ্য পরিবহণ ও বাজারজাতকরণ, প্রসূতিসহ রোগী ও গবাদিপশু নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সুজা জানান, রাস্তার দুর্ভোগের বিষয়টি তিনি অবগত। পাকাকরণের বিষয়টি অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই সুখবর মিলবে বলে তিনি জানান।