ইলিশের দামে হতাশ ক্রেতারা

দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন বাজারে ইলিশ মাছের দাম চড়া। জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়লেও কমেনি দাম।

তবে জেলেরা বলছেন, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা না মেলায় দাম কমছে না। মাছের বেপারিরা বলছেন, ভরা মৌসুমেও তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। তাই জেলেদের চাহিদা (খরচ না ওঠা) এখনো পূরণ হয়নি। তাদের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর দাম কমবে।

বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে আগে বেশি ইলিশ ধরা পড়লেও এখন কম ধরা পড়ছে। তাই দাম কমেনি। অন্যদিকে দাম না কমার পেছনে বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটকেও দায়ী করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

চরফ্যাশনের বাজারে এক কেজি ওজনের এক হালি (চারটি) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। জাটকার হালির দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এতে জেলে, মাছের বেপারি, বিক্রেতা ও ক্রেতারা অনেকটা হতাশ।

শুক্রবার চরফ্যাশন পৌর এলাকার মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১২ জন বিক্রেতা ইলিশ নিয়ে বসে আছেন। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা ইলিশ না কিনেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন।

ক্রেতা আবু ছিদ্দিক বলেন, বাজারে কিছু ইলিশ দেখা গেলেও ক্রেতা অনেক বেশি। তাই দাম চড়া। এ জন্য ইলিশ না কিনেই চলে যাচ্ছি।

আরেক ক্রেতা কামাল মিয়াজী বলেন, বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। মাছ বিক্রেতাদের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

বাজারের বিক্রেতা বসির প্রায় ৭০০ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশের দাম চাইছেন সাড়ে তিন হাজার টাকা। বিক্রেতা মামুন এক হালি জাটকার দাম চাইছেন আড়াইশ টাকা।

এ বিষয়ে মাছ বিক্রেতারা বলেন, এখন নদীতে ভাটা। এ জন্য নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। তাই দাম বেশি।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, চরফ্যাশনের নদনদীতে এখন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে দামও কম হওয়ার কথা। তবে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে থাকতে পারে। এ কারণে ইলিশের দাম কমছে না বলে মনে করেন এ মৎস্য কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *