বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলবল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। একাধিক ব্যক্তি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ না করতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে অনুরোধ করেন ইউএনও। এতে ক্ষেপে যান মেয়র সাদিক। ইউএনওকে ধমক দিয়ে নানা কথা শোনান তিনি। আজ সকাল ৯টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ইউএনওর সঙ্গে বিকবিতণ্ডার দৃশ্যটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর ফেসবুক থেকে লাইভ করা হয়।
ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বিনা ভোটে সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নুসহ কয়েকজনকে নিয়ে কেন্দ্রের দিকে যান।
এ সময় ভোট কক্ষে প্রবেশের গেটে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম অনুরোধ করেন যেন একাধিক ভোটার নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ না করেন। এরপর ভোট কক্ষের সামনে পৌঁছলে বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মনিরুজ্জামান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে বলেন, ভোটকেন্দ্রে একাধিক ভোটার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
এ সময় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি? কেন সিন ক্রিয়েট করতেছেন? আপনি কে? আমি কি ঢুকছি? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন। যেভাবে ভাবটা করেন তাতে বুঝা যায় দল বাইধা ঢুকতেছি।
ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তাহলে সমস্যা কোথায় আপনাদের?
তখন কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না পাশ থেকে বলেন, ‘এখানে সবাই ভোটার, আপনি চেনেন না। আপনে বরিশালে মনে হয় নতুন।’
এ কে এম জাহাঙ্গীর ইউএনওকে বলেন, উনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এ সময় ইউএনও বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।’
মেয়র সাদিক ইউএনওকে বলেন, আমি তো ভেতরে ঢুকিনি। আসার পর থেকে আপনারা বলতেছেন ফাইজলামি করেন আপনারা। আপনে কানে কথা শোনেননি। তখন ইউএনও মনিরুজ্জমান মেয়রকে বলেন, আপনাকে কিছু বলিনি স্যার।
এ বিষয়ে বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, ভোট কক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনো বিধান নেই। মেয়রের ফেসবুক পেজের লাইভের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।