পিঁপড়া নাকি দানব!

ক্ষুদ্র বস্তুকে বড় করে দেখার জন্য প্রচলিত মাইক্রো বা আণুবিক্ষণিক ফটোগ্রাফি। এমন ফটোগ্রাফিতে একটি পিঁপড়ার ছবি এমনভাবে তোলা হয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি দানবের ছবি। লিথুয়ানিয়ার ফটোগ্রাফার ইউজেনিজাস কাভালিয়াসকা একটি প্রতিযোগিতায় এমন একটি ছবি জমা দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
পিঁপড়া নাকি দানব!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মানুষের দৃষ্টিতে ধরা পড়ে না এমন আণুবিক্ষণিক ছবি তোলার প্রতিযোগিতা নিকন স্মল ওয়ার্ল্ড ফটোমাইক্রোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় দানব আকৃতির ছবিটি জমা দিয়েছিলেন ইউজেনিজাস কাভালিয়াসকা। এরই মধ্যে ছবিটি সামাজিক মাধ্যমসহ ইন্টারনেট দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছে।

নিকন স্মল ওয়ার্ল্ড ফটোমাইক্রোগ্রাফি প্রতিযোগিতা-২০২২-এর ‘ইমেজ অব ডিসটিংশন’ বিভাগে নির্বাচিত ৫৭ ছবির একটি ইউজেনিজাস কাভালিয়াসকাসের তোলা ছবিটি। পিঁপড়ার মুখের ছবিটি তুলতে এটিকে মাইক্রোস্কপের নিচে পাঁচ গুণ বড় করতে হয়েছে। ছবিটি ৩৫ ডলার মূল্যের নিকন সামগ্রী পুরস্কার জিতেছে।

ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে পিঁপড়াটির চোখ লাল আর এর মুখে রয়েছে স্বর্ণালি রঙের দাঁত। বহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ছবিটিকে ‘ভীতিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।

কাভালিয়াসকাস বলেন, ‘আমি একটি বনের কাছে বসবাস করি, যা আমার পক্ষে একটি পিঁপড়াকে শনাক্ত করা সহজ করে তোলে।’ তিনি বলেন, মাটিতে ছুটে চলা একটি পিঁপড়ার ছবি তোলা বিরক্তিকর।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় বিশদ, ছায়া এবং দেখা যায় না এমন বস্তুর সন্ধান করি। ফটোগ্রাফির মূল লক্ষ্য নতুন কিছু আবিষ্কার করা,’ তিনি যোগ করেন।

অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে পিঁপড়াটি কেমন দেখায় সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃতিতে কোনো ভয়ংকরতা নেই।

ছবিটি সম্পর্কে একজন লিখেছেন, ‘ছবিটা কি কোনো ভূতের সিনেমার? না। এটা একটা পিঁপড়ার মুখের সত্যিকার ছবি। একটা পিঁপড়া। এখন সারা রাত এটা আপনাকে ভাবাবে।’ আরেকজন মজা করে লিখেছেন, ‘ড্রাগন পৌরাণিক কথায় হারিয়ে যায়নি; বরং তার আকার ছোট হয়েছে।’

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নিকন ৪৮ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এই বছরের আয়োজনে জমা পড়ে অন্তত ১৩ হাজার ছবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *