ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে দমনপীড়নের কারণে দেশটির এক ডজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। খবর সিএনএন ও রয়টার্স।
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন হয়ে গেছে। আজ তার পরিবার ও বহু ইরানি শোক পালন করছে। তাদের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।

তিনি আরও বলেন, ইরানের জনগণের পাশে থাকতে ও বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) ঘোষিত ওই নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অন্তত ১২ কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইরানের বিখ্যাত ইসলামিক রিভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ কাজেমি, সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর হোসেন মোদারেস খিয়াবানিও রয়েছেন।

এ ছাড়া কালো তালিকায় রয়েছেন ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই কর্মকর্তা। তাদের একজন ইসফাহান শহরের পুলিশপ্রধান। এ ছাড়া জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের সাতজন কারাগার কর্মকর্তা রয়েছেন এ তালিকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিভাগ জানিয়েছে, জুনে আইআরজিসির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হওয়ার পর থেকে কাজেমি ইরানের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করেছেন।

আইআরজিসি ও এর বাসিজ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদান এলাকায় ৩০ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির ঘটনায় সিস্তান ও বেলুচিস্তানের গভর্নর খিয়াবানিকে দায়ী করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হ্যাকারদের প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও ইরান সরকারের ওপর ইন্টারনেটের সেন্সরশিপ পরিচালনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শিরাজ শহরে শিয়া মুসলিম দরগাহে যে হামলা হামলার ঘটনা ঘটেছিল তার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিবৃতি দিয়ে এ হামলার দায় নিয়েছে আইএস। জঙ্গি গোষ্ঠীটি বলেছে, আইএসের এক যোদ্ধা শিরাজ শহরের শাহ চেরাগ দরগাহে গুলি চালান।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর শাহ চেরাগ নামের ওই দরগাহে হামলা হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৪০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *